কক্সবাজারের চকরিয়ায় গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যার পর মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দেওয়া ঘটনায় প্রধান আসামি সুমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গত ১০ মে কক্সবাজারের চকরিয়ার বাসিন্দা কামাল হারুনের স্ত্রী সুমা আক্তার তার বাসার গৃহকর্মী মিফতাহ মণিকে (১০) পাশবিক নির্যাতন করেন। মণি মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গার সৈয়দ নুরের মেয়ে৷
নির্যাতনে মিফতাহ মণির মৃত্যু হয়। সুমা আক্তার তার স্বামীর সহযোগিতায় মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দেয়। পরে গৃহকর্মীর পরিবারকে জানানো হয়, ডায়রিয়ার কারণে মণির মৃত্যু হয়েছে। এরপর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে মহেশখালীতে পাঠিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন এবং মৃত্যু পরবর্তী মরদেহ ফ্রিজে রাখার আলামত পেয়ে চকরিয়া থানায় অবহিত করেন।
এই ঘটনায় মিফতাহ মণির বাবা মো. সৈয়দ নুর বাদি হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, পুলিশের সঙ্গে র্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে। তবে আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে বার বার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।
শনিবার (২৭ মে) সাড়ে ৩টায় র্যাব-১৫ এর একটি দল গোপন সংবাদরর ভিত্তিতে কক্সবাজারের সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া এলাকা থেকে ঘটনার সুমা আক্তারকে (৩২) গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার সুমা আক্তার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া আসামিকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
ডিজে