গর্জনিয়ায় ইউপি সদস্যের হুমকিতে যুবক বাড়ি ছাড়া

মোঃ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি : কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়ায় ইউপি সদস্যের বেআইনি দাপটের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে মো.ফোরকান নামে এক যুবক। তাঁর বাড়ি ইউনিয়নের পূর্ববোমাংখিল গ্রামে। সংশ্লিষ্ট ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মনিরুল আলমের হুমকি ধামকিতে যুবকটি এখন বাড়ি ছাড়া। নিজ জন্ম ভিড়ায় সে ফিরতে চাইলেই বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মনিরুল আলম! এমন অভিযোগ গ্রামের সচেতন মহলের।
মো.ফোরকানের মা সলিমা খাতুন (৫৫) বলেন, ইউপি সদস্য মনিরুল আলম তাঁর ৩৩ শতক জমি দশ বারো বছর ধরে বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতেন। লাগিয়তও সময় মত দিতেন। কিন্তু ২০১৬ সালে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্গাচাষা থেকে বর্তমানে সে নিজেকে মালিক দাবি করছে।
সলিমা খাতুন অভিযোগে আরও বলেন, ‘আমার জমিতে আমি যেতে পারছি না। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ইউপি সদস্য মনিরুল আলম আমাদেরকে নানাভাবে জুলুম-নির্যাতন করছে। এটা খুবই দু:খজনক। ছালেহ আহমদ নামে এক চাষাকে জমি লাগিয়ত হিসাবে দিলেও তাঁকে চাষাবাদ করতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্টো সে (ইউপি সদস্য) জমি দখলে রেখেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভুক্তভোগী মো.ফোরকান বলেন, ‘বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এবং ইউপি সদস্যের থকমা থাকায় মনিরুল আলম এখন পোয়াবারো। তাঁর ক্যাডাররা প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি দিচ্ছে। ইতোপূর্বে একবার হামলাও চালিয়েছে। তাদের কারণে আমি এখন কক্সবাজারে পালিয়ে এসেছি। আমার পরিবারের সদস্যরাও বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায়।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ববোমাংখিল গ্রামের গোলাম কাঁদের ওরফে গুলালের স্ত্রী সলিমা খাতুনের ৩৩ শতক জমি লাগিয়ত হিসাবে এক যুগ ধরে চাষাবাদ করছেন বর্তমান ইউপি সদস্য মনিরুল আলম। কিন্তু ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মনিরুল আলম সেই জমি তার বলে দাবি করে- দখলে রেখেছে। সলিমা খাতুনের পরিবার ন্যায় বিচার চাইলেও এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ কোন ধরণের কার্যকরি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মনিরুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কথা বলতে বাধ্য নই। আপনাদের যা ইচ্ছা তাই করেন!’ এ ব্যাপারে অনেক চেষ্টা করেও গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া য়ায়নি। তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।