গভীর রাতে আগুনে পুড়ল স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনের নির্বাচনী অফিস

চট্টগ্রাম-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের নির্বাচনী অফিসের আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে অফিসে ঘেরা দেওয়া দু’পাশের পর্দা পুড়ে গেছে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) গভীর রাত ৪টার দিকে ইপিজেড থানার আব্দুল মাবুদ সওদাগরের পুরাতন বাড়ির সামনে সুমনের নির্বাচনী কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে গেছে, মূলত আতঙ্ক ও ভয়ভীতি তৈরি করতেই গভীর রাতে আগুন দেওয়া হয় নির্বাচনী অফিসে। বুধবার বিকালে নির্বাচনী অফিসটি উদ্বোধনের কথা ছিল। বিষয়টি জেনে প্রতিপক্ষের লোকজন গভীর রাতে আগুন ধরিয়ে দেয় অফিস। এতে ডেকোরেশনের কাপড় দিয়ে বানানো অফিসের দুপাশে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘খবর পেয়ে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি নিজেই পরিদর্শন করেছি। অফিসের ডেকোরেশনের কাপড় দিয়ে বানানো দু’পাশে পুড়ে গেছে। তেমন বড় ক্ষতিক্ষতির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।’

ওসি বলেন, ‘প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়াতে গভীর রাতে নির্বাচনী অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে।’

আগুন কারা দিয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন আগুন দিয়েছে। সুমন ভাইয়ের জনপ্রিয়তা দেখে তাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন বলেন, ‘পাড়া-মহল্লা, অলিগলিতে, রাজৈনৈতিক মহল ও সাধারণ জনগণের মাঝে আমার জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার নিার্বচনী ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। আমার কর্মীদেরকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী ৭ জানুয়ারি বিপুল ভোটের মাধ্যমে এসব অপরাজনীতির জবাব দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনীয় কার্যালয়টি উদ্বোধন করার কথা ছিল আজ বুধবার। ভয়ভীতি ও আতঙ্ক ছড়াতে গভীর রাতে নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে।’

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!