পাচারের উদ্দেশ্যে গাজীপুর থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা ১২ বছরের এক কিশোরীকে ইপিজেড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর ইপিজেড থানার খান সুফিয়া ম্যানশন কাস্টমস বিল্ডিং থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পাচারকারী চক্রের সদস্য সন্দেহে এ সময় গ্রেপ্তার করা তিনজন হলেন— সুমা আক্তার (২০), শাহ পরান (১৯) এবং রাহাত হোসেন। পরে এই তিনজনকে গাজীপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, গাজীপুর নগরীর বাসন থানা এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীর বাসার পাশে মাসখানেক আগে বাসা ভাড়া নেয় গ্রেপ্তার হওয়া ওই তিনজন। পাশাপাশি বাসা হওয়ায় কিশোরীটি ছাড়াও তার পরিবারের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তাদের।
গত ১৩ ডিসেম্বর জন্মদিনের নামে ওই কিশোরীকে বেড়ানোর কথা বলে একপর্যায়ে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে প্রতিবেশী ওই পরিবারটি। পরে তারা বাসায় ফিরে না আসায় অপহৃত কিশোরীর বাবা গাজীপুরের বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি এই ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাবও।
ছায়াতদন্তের একপর্যায়ে র্যাব নিশ্চিত হয়, কিশোরীসহ অপহরণকারীরা চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার খান সুফিয়া ম্যানশন কাস্টমস বিল্ডিংয়ে অবস্থান করছে। এরপরই রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে র্যাব ওই বিল্ডিংয়ে অভিযান চালায়।
র্যাব জানিয়েছে, পাচারের উদ্দেশ্যেই ওই কিশোরীকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছিল। অপহরণকারীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা কৌশলে কিশোরীসহ তরুণীদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসে।
পরে তাদের কাউকে কাউকে দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয়, অন্যদিকে দেশের বাইরে পাচার করে দেওয়া হয়।
সিপি