ধরে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়, চট্টগ্রামের ৬ পুলিশ অভিযুক্ত

গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে এক ঠিকাদারকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় সিএমপিতে কর্মরত ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার এ আদেশ দেন।

অভিযুক্ত ছয় পুলিশ সদস্য হলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) এসএএফ শাখার কনস্টেবল আব্দুল নবী (২৭), এসকান্দর হোসেন (২৬), মনিরুল ইসলাম (২৫), শাকিল খান (২৫), মো. মাসুদ (২৫) এবং মোর্শেদ বিল্লাহ (২৬)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আবদুল মান্নান পেশায় একজন ঠিকাদার। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ গ্রামের বাড়িতে কিছু লোক এসে দরজা খুলতে বলেন। পরে পরিবারের সদস্যরাসহ ঘরের দরজা খোলার সাথে সাথে ৮ জন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে আবদুল মান্নানকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে মোটরসাইকেলে করে আবদুল মান্নানকে পটিয়া উপজেলার ভেল্লাপাড়া রাস্তার পাশের একটি টং চায়ের দোকানে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে— এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ১০ লাখ টাকা দিতে অপারগ হলে একপর্যায়ে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিতে রাজি হয় অপহরণকারী ওই পুলিশ সদস্যরা।

ভুক্তভোগী আবদুল মান্নান বিষয়টি পরিবারকে জানালে রাত ৪টার দিকে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা তাদের হাতে তুলে দেওয়ার পর ভোর ৫টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

পুলিশ সদস্য পরিচয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের এই ঘটনায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী আবদুল মান্নান। পরবর্তীতে এ ঘটনায় সিএমপির এসএএফ শাখার ৬ পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।

মামলাটি পরবর্তীতে পিবিআই তদন্তের ভার পেলে পুলিশ পরিদর্শক একেএম মহিউদ্দিন ও মো. কামাল আব্বাস তদন্ত শেষে আদালতে রোববার চার্জশিট প্রদান করেন। চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইএমই/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!