কোন্দলের আগুনে পুড়ছে আওয়ামী লীগ, সাংসদ জাফর ও নেতাদের কেন্দ্রের ডাক

দলের মনোনীত প্রার্থীর ‘বিপক্ষে’ থাকার অভিযোগে প্রথমে অব্যহতি দেয়া হয় কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামকে। সেটির রেশ কাটতে না কাটতেই চকরিয়া উপজেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলমকেও। এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগকে দোষারূপ করে জাফরের বক্তব্য এবং জাফরকে দায়ী করে জেলা আ’লীগের বক্তব্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে অবশেষে দুপক্ষকেই ডাক দিয়েছে কেন্দ্র থেকে।

রোববার (১৩ জুন) বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থেকে নেতারা দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসবেন।

চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি জাহেদুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ফোন দিয়েছেন। রোববার বেলা তিনটায় আমাকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলেছেন। বৈঠকে সাংসদ জাফর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও ডাকা হয়েছে।’

সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সাংসদ জাফর আলমকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সরওয়ার আলমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর সাংসদের অনুসারী দলীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেন।

সাংসদ জাফর আলম দাবি করেন, তাঁকে অব্যাহতি দিতে যেসব প্রক্রিয়া দরকার, তার কোনোটিই মানা হয়নি। ঈর্ষান্বিত হয়ে জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অগঠনতান্ত্রিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সাংসদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সাংসদকে অব্যাহতির খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেন নেতা-কর্মীরা। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের শান্ত করতে চকরিয়া থানার রাস্তার মাথা এলাকায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন সাংসদ। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদককে ‘গালাগালি’ করছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘একজন সাংসদের মুখের ভাষা এত জঘন্য হওয়ার কথা নয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অভিযোগ জানিয়েছি।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!