কোটি টাকার আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স ফেলে রেখেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

জনবল তৈরির বাহানায় গেল ৫ মাস

আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে মুমুর্ষু মানুষের জীবন রক্ষা পায়। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কোটি টাকার আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স মানুষের প্রাণ রক্ষার কোনো কাজেই আসছে না। উল্টো অত্যাধুনিক এই অ্যাম্বুলেন্সকে সুরক্ষিত রাখতে মাসের পর মাস ত্রিপলের আবরণ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

গত ২ জানুয়ারি সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।
গত ২ জানুয়ারি সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।

সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দরকিল্লার পুরাতন নগর ভবনের সামনে পার্কিং করে রাখা হয়েছে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি। অ্যাম্বুলেন্সটির ওপরে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। প্রায় পাঁচ মাস ধরেই এভাবে পড়ে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি। তার পাশেই রয়েছে রয়েছে আরো তিনটি পিকআপ।

জানা যায়, গত বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকালে ১১৯টি বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেই উপহারের একটি পেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এতে আইসিইউসহ বিভিন্ন সুবিধা আছে। ২ জানুয়ারি নগরীর টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী। মূলত এরপর থেকেই অলস পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সটি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, অ্যাম্বুলেন্সটি চালানোর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সের দরকার আছে। সেই জনবল চসিকের হাতে নেই। এছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ ও চালকের দরকার আছে।

পাঁচ মাস পার হলেও এখনও সেই জনবল তৈরি করতে পারেনি চসিক। ফলে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে আছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে অলস পড়ে থাকলে অ্যাম্বুলেন্সটির বিভিন্ন অংশ অকেজো হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে ব্যবহার উপযোগিতা হারাবে।

অ্যাম্বুলেন্সটি কখন থেকে ব্যবহার করা হবে এবং কিভাবে ব্যবহার করা হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এটি ব্যবহার করার জন্য একটি টিম প্রস্তুত করার কাজ চলছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল ও ব্যবহারের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দরকার। মেয়র মহোদয় এ ব্যাপারে অবগত আছেন। খুব দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!