‘কিশোর গ্যাং’ মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ৮ জন মিলে খুন করে রফিকুলকে

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় খুন হওয়া রফিকুল ইসলামকে (১৬) মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে খুন করা হয়। এ খুনের বিষয়টিও ছিল পরিকল্পিত। পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যার আগে তাকে আট জন মিলে বেধড়ক মারধরও করা হয়। এরা একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।

মূলতই চসিকের এক কাউন্সিলরের ‘উৎসাহে’ কিশোর গ্যাং গ্রুপটি দাপিয়ে বেড়াতো মোহাম্মদপুর এলাকায়। সোয়েভ নামের এক কিশোর এই গ্রুপের দলনেতা বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় সোমবার মধ্যরাতে দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে এসব বিষয় উল্লেখ করেন মামলার বাদি ও নিহতের মা জনেরা বিবি।

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর সুলতান কলোনীতে সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত রফিকুল ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ফিরোজ মিয়ার ছেলে।

এই হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতেই জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। রাতে এ ঘটনায় ৮ আসামীর নাম উল্লেখ করে পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হয়েছে মামলা।

পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া এসব বিষয় চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন।

আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী ইয়াছির আরাফাতকে স্থানীয়রা আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে আটক করে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাও উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার দিবাগত মধ্যরাতেই পাঁচলাইশ থানার বিশেষ টিম অভিযানে নামে আসামীদের গ্রেফতারে। রাত দুইটার মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। আট আসামীর বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’

এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে একটি মোবাইল ফোন হারানোর বিষয়ে রফিকুলের সঙ্গে প্রধান আসামী ইয়াছির আরাফাতের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ বিরোধের জের ধরে ইয়াছির রফিকুলকে হত্যার হুমকি দেয়।

এরপর থেকে রফিকুলকে খুঁজতে থাকে ইয়াছির ও তার সহযোগীরা। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোহাম্মদপুর সুলতান কলোনীর চিকন গলিতে রফিকুলকে পেয়ে মো. ইয়াছিন আরাফাত, মহিম, হাসান প্রকাশ শাহীন, রহমত উল্লাহ, আবু রাশেদ প্রকাশ কামাল, বেলাল প্রকাশ চুল্লু, বাপ্পি সাইমনসহ আরও ৫ থেকে ৬ জন মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ইয়াছির রফিকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করে।

এ সময় স্থানীয়রা ইয়াছিরকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দেয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ইয়াছিরকে উদ্ধার করে আটক করে।

নিহত রফিকুল ইসলাম একটি এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরীতে চাকরি করতো বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!