কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: রাঙামাটির সংবাদকর্মীসহ তিনজন কারাগারে

কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় রাঙামাটির এক সংবাদকর্মীসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। একইসঙ্গে মামলার আরেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা মুচলেখায় জামিন দেয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক তোফায়েল হাসান এ আদেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শ্লীলতাহানির মামলার চার আসামি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত আসামি ও বাদী পক্ষের যুক্তিতর্ক শোনে মামলার তিন আসামি আলমগীর মানিক, মাসুদ পারভেজ নির্জন ও শহিদুল ইসলাম হৃদয়ের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এছাড়া অন্য আসামি জাহেদা বেগমকে বিশেষ বিচেনায় জামিন দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আফরোজা আক্তার জানান, আদালত আসামি জাহেদা বেগমকে নারী এবং তার শিশু সন্তান থাকার কারণে বিশেষ বিবেচনায় জামিন দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার হুমকিসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাঙামাটির দুই সংবাদকর্মী ও তাদের দুই সহযোগীসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রী। তিনি জেলা শহরের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তার স্বামী দৈনিক অবজারভারের জেলা প্রতিনিধি।

মামলার এজাহার বাদী উল্লেখ করেন, ‘প্রতারণামূলকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে আমি ও আমার স্বামীর আইডিতে ছদ্মবেশ ধারণ করে আপত্তিকর, মানহানিকর কমেন্ট করে হেয়প্রতিপন্ন ও ফেসবুক আইডি হ্যাক করার চেষ্টা করে আসামিরা। পরবর্তীতে আইডি হ্যাক করে আমার আইডি থেকে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে নেয় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলে।

এছাড়া বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডিতে আমার ছবি প্রকাশ করে আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলে। এরপর আমাকে এবং আমার স্বামীকে মেরে ফেলে লাশ গুম করে ফেলা, আমাকে সন্ত্রাসী দিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণের হুমকি দেয় আসামিরা।’

মামলার চার আসামির মধ্যে জাহেদা বেগম (৪০) বাংলাদেশ টেলিভিশনের এবং মো. আলমগীর মানিক (৩৮) এশিয়ান টেলিভিশনের রাঙামাটি প্রতিনিধি। অন্য দুই আসামি মাসুদ পারভেজ নির্জন (২৪) ও শহিদুল ইসলাম হৃদয় (২৫) এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি আলমগীর মানিকের সহযোগী।

কেএস