করোনা চিকিৎসায় ১০০ শয্যার ইউনিট শুরু হচ্ছে চমেক হাসপাতালে

চিঠি এল মন্ত্রণালয় থেকে

শয্যা সংকটে যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, ঠিক তখনই খানিকটা আশার আলো হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চালু হতে যাচ্ছে ১০০ শয্যার স্বতন্ত্র ইউনিট। শনিবার (১৬ মে) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে এসে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম হুমায়ুন কবির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এতদিন আমাদের ফ্লু কর্ণারে ৩০ শয্যায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছিল। আজ (১৬ মে) ১০০ শয্যার ইউনিট করার অনুমতি সংক্রান্ত নির্দেশনা আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছি। আমরা চিকিৎসকসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতির জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে আমরা চমেক হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় একটি ডেডিকেটেড ইউনিট চট্টগ্রামবাসীর সেবায় চালু করতে পারবো।’

এবিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসা যে তিনটি সরকারি হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে তাতে বিদ্যমান অবকাঠামোতেই আরো ৪০০ শয্যা বৃদ্ধির একটা প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে আমরা মন্ত্রণালয়ে দিয়েছি। চমেক হাসপাতালে এই ১০০ শয্যা তারই একটা অংশ। চমেক হাসপাতালে আমাদের প্রস্তাবনায় ৩০০ শয্যা রয়েছে। আশা করছি আমাদের প্রস্তাবনার বাকি অংশও কার্যকর করতে মন্ত্রণালয় দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা দুর্যোগে যেভাবে দেশের ৬৪ জেলার খোঁজখবর নিয়মিত রাখছেন তা একটি বিরল দৃষ্টান্ত। তিনি চট্টগ্রামের প্রতি আন্তরিক। চট্টগ্রামের প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, করোনা চিকিৎসায় চট্টগ্রামে এই মুহূর্তে সরকারি হাসপাতালে সিট রয়েছে মাত্র ২২০টি। এ হিসেবে অর্ধেকেরও বেশি রোগী পড়ে থাকছে বাসাতেই। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী তিনটি সরকারি হাসপাতালে বর্তমান অবকাঠামো ঠিক রেখে শুধুমাত্র জনবল পুনর্বিন্যাস করে কমপক্ষে আরও ৪০০ শয্যায় বিস্তৃত সেবা প্রদানের একটি প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে স্বাচিপ। প্রস্তাবনার পরপরই চমেকে ১০০ শয্যার ইউনিট চালুর নির্দেশনা এলো। চমেক হাসপতালে ১০০ শয্যা চালু হলে চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসা মোট শয্যা সংখ্যা দাঁড়াবে ২৯০টি।

স্বাচিপের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২৫০ শয্যার একটি বেসরকারি হাসপাতাল সরকারের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হলে চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় মোট শয্যাসংখ্যা দাঁড়াবে ৮৭০ শয্যায়।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!