করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগে আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম ২৫ মে পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেছি। দেশব্যাপী সব পর্যায়ে চলমান কমিটি গঠন ও পুনর্গঠন কার্যক্রম ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত ছিল। করোনা মহামারির ব্যাপক বিস্তারের কারণে এই স্থগিতাদেশ আগামী ২৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়ার আবেদন করছি। যাতে সবাই সম্মিলিতভাবে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবাই নিজেকে নিরাপদ রেখে দেশের আপামর জনসাধারণের পাশে থাকবেন। যার যা সামর্থ আছে তা নিয়ে প্রতিবেশির দিকে খেয়াল রাখবেন।
প্রসঙ্গত, করোনা ইস্যুতে মাঝে মধ্যে গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে দলের আর কোনো নেতা উপস্থিত থাকেন না। শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মোবাইল, টেলিফোন অথবা অনলাইনেই প্রয়োজনীয় যোগাযোগ সারেন। সপ্তাহে দুই/তিন দিন নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেখানেও দলের কোনো নেতা থাকেন না। মিডিয়া কর্মীদেরও ডাকা হয়না।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরপরই নগর বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দলের হাইকমাণ্ড। নেতারা সবাই ছিলেন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন পেছানোর কারণে যে যার মতো আছেন। দক্ষিণ জেলা ও উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চলছিল। করোনায় সব কিছুই অনিশ্চিত করে দিলো।
এফএম/এসএ