কক্সবাজারের সাবেক ডিসি রুহুল আমিন দুর্নীতি মামলায় কারাগারে

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি রুহুল আমিন দুর্নীতি মামলায় কারাগারে 1কক্সবাজার প্রতিনিধি : মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৪৬কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার (২২ মে) দুপুর ১২টায় তিনি আদালতে আত্মসর্ম্পন করতে গেলে কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক তৌফিক আজিজ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ২১ মে উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হয় ডিসি মোঃ রুহুল আমিনের। গত ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং- ১৯। ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল মামলার চার্জসীট দাখিল করেন দুদকের চট্টগ্রাম উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ।
চার্জসীটভূক্ত ৩৬ আসামীর মধ্যে সাবেক ডিসি রুহুল আমিন ২৬নং আসামী। তিনি অর্থমন্ত্রনালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপ-সচিব।
এ মামলায় ইতোপূর্বে গ্রেফতার হন- সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জাফর আলম, সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, এডভোকেট নুর মোহাম্মদ সিকদার, সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
এদের মধ্যে জামিনে আছেন আবুল কাশেম মজুমদার ও নুর মোহাম্মদ সিকদার।
মামলায় দুদক পক্ষে ছিলেন- দুদকের পিপি এডভোকেট মোঃ আব্দুর রহিম ও এডভোকেট মোঃ সিরাজ উল্লাহ। আসামী পক্ষে ছিলেন- এডভোকেট নুর সুলতানা সহ কয়েকজন আইনজীবী।
এডভোকেট আবদুর রহিম জানান, মামলার তদন্তে প্রকাশ পায় যে, আসামীরা পরস্পর যোগসজসে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অপরকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহনকৃত ও সরকারী খাস ১নং খতিয়ানের জমিসহ ফিল্ড বুকে চিংড়ী ঘেরের কোন বিবরণ না থাকা সত্ত্বেও আত্মসাতের অসৎ উদ্দেশ্যে আসামীরা প্রতারনা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূঁয়া ও অরেজিষ্ট্রীকৃত চুক্তনামা ও মাষ্টাররোলের ফটোকপি দাখিল করেন।
আসামীরা অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ১৩৩৫ একর জমির চিংড়ী ফসলের ক্ষতিপূরণের প্রাক্কলন তৈরী ও অনুমোদনের মাধ্যমে প্রত্যাশি সংস্থা, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী বাংলাদেশ লিঃ এর নিকট হতে অন্যান্য ক্ষতিপূরণের সাথে চিংড়ী ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৬কোটি ২৪লাখ ৩৩হাজার ৩শ ২০ টাকা চেক সংশ্লিষ্ট অধিগ্রহনের হিসাবে জমা করেন। পরবর্তীতে ২০টি এল.এ চেক মূলে প্রায় ২০ কোটি টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করেন।
পিপি আবদুর রহিম আরও জানান, সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন গং এর দুর্নীতি তাতে শেষ নয়। ৫টি চেক প্রস্তুত ও প্রদান পূর্বক অবশিষ্ট প্রায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রচেষ্টার মাধ্যমে গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। দুদকের তদন্তে দুর্নীতি সঠিক প্রমানিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জসীট দেয়া হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!