এই এপ্রিলেই আঘাত হানতে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়

করোনাভাইরাসের এমন দুর্যোগের মধ্যেই দেশজুড়ে চলছে তাপদাহ। এ কারণে আকাশে জমছে মেঘমালা। মেঘমালা থেকে আবার সাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। বিপদটা সেখানেই। নিম্নচাপ যখনই শক্তিশালী হবে, তখনই আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়। এই এপ্রিলেই এমন ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা দেখছেন দেশের আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। তবে আশার কথা শুধু এটুকুই— ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আগে অনেক নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে পড়ে।

আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের ঋতুগুলোরও পরিবর্তিত হচ্ছে। কালবৈশাখী ঝড় আগে কেবল বৈশাখ মাসেই হলেও, এখন আর সেই অবস্থা নেই। গত কয়েক বছর ধরে বৈশাখ শুরুর আগে থেকেই কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। আবার তাপদাহের তীব্রতার কারণে আকাশেও সৃষ্টি হয় মেঘমালার। এ ধরনের মেঘমালা সাগরে তৈরি হলে জলীয় বাষ্প এবং পানি মিলে-মিশে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই নিম্নচাপ যখনই শক্তিশালী হয়, তখনই আঘাত হানে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আঘাত হানে।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি এপ্রিলে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলা বৃষ্টি তীব্র বা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। দেশের অন্য এলাকায়ও চার থেকে ছয় দিন বজ্র ও শিলা বৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে এই সময়ে। এর মধ্যে অন্তত একটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।

অন্যদিকে চলতি এপ্রিলে দেশের উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি একটি তীব্র তাপদাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের অন্য এলাকায়ও ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এক থেকে দুটি মাঝারি ধরনের অথবা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। গত ২৪ ঘন্টায় রাঙামাটি ও সৈয়দপুর অঞ্চলসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

তবে আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, দেশের অন্য এলাকার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!