‘অবস্থা ভালো’ মেয়েটি মারা গেল ডাক্তারের ভুলে?
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বেপরোয়া সিএনজিচালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় নাহিদা আক্তার নামের ৮ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। ‘অবস্থা ভালো’ দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার দুই ঘন্টার মাথায় ওই ছাত্রী মারা গেল। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত নাহিদা আক্তার ওই এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির ফোরকান হোসেনের মেয়ে এবং দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
জানা গেছে, সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে নাজিরহাট পৌরসভার কুম্ভারপাড়া এলাকায় স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে চট্টগ্রাম শহরমুখী বেপরোয়া একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা নাহিদাকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ‘অবস্থা ভালো’ দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন। পরে নাহিদাকে বাড়ি নেওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রশ্ন উঠেছে সব ঠিকঠাক থাকলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে মেয়েটির মৃত্যু কিভাবে হয়? মুখে ও মাথায় আঘাত পাওয়া মেয়েটির সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে থাকলে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে বাসায় পাঠানো হলো কেন?
এএইচ