অনিয়মের আশ্রয়ে ওয়ারিশ সনদ না দেয়ায় বোয়ালখালীতে মেম্বার কর্তৃক ইউপি সচিবকে প্রাণনাশের হুমকি

বোয়ালখালীতে অনিয়মের আশ্রয়ে ওয়ারিশ সনদ না দেয়ায় নিরীহ ইউপি সচিবকে প্রাণ নাশের হুমকি দিল একই পরিষদের এক মেম্বার। গত ৩০ মার্চ দুপুর ১ টার উপজেলার ৭নং চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একইদিন ভূক্তভোগী সচিব বাদী হয়ে ২ জনকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বোয়ালখালী থানা পুলিশ, চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- উপজেলার ৭ নং চরণদ্ধীপ ইউনিয়ন পরিষদে গত ৮ বছর যাবৎ ইউপি সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ৪ নং বাহারছড়া ইউনিয়নের শেখ মঙ্গল তালুকদার বাড়ীর রফিক আহম্মদ তালুকদারের পুত্র কামরুল হাসান তালুকদার। কামরুল প্রতিদিনের মতো ৩০ মার্চ পরিষদে আসে। সচিব ঐদিন নিজ পরিষদের অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় বেলা ১ টার দিকে উপস্থিত হয় ৩নং ওয়াডের মেম্বার মোঃ আবুল কালাম। উপস্থিত হয়ে কালাম মেম্বার ইউপি সচিব কামরুলকে বলেন একটি ওয়ারিশ সনদ দেয়ার জন্য। তখন সচিব কামরুল ইউপি মেম্বারকে বললেন নিয়মানুসারে ওয়ারিশ সনদ গ্রহীতার সকল তথ্য খতিয়ে দেখতে হবে, তারপর সনদ দেয়া হবে।

একথা বলার সাথে সাথে মেম্বার কালাম উত্তেজিত হয়ে গাল মন্দ করে সচিবকে মারধর করার চেষ্টা পূর্বক এ পরিষদে চাকুরী না করার জন্য শাষায় সচিবকে। তা না মেনে যদি সচিব চাকুরীতে আসে তাহলে প্রাণনাশ করা হবে বলে হুমকি প্রদান করে। এঘটনা অবহিত হয়ে তা সমাধানের লক্ষ্যে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামশুল আলম অভিযুক্ত মেম্বার কালামকে বিকাল ৪ টায় নিজ কার্যালয়ে ডেকে আনেন। অভিযুক্ত মেম্বার আবুল কালাম ও তারপুত্র জয়নাল আবেদীন এসময় অন্যায় আচরন করে উত্তেজিত হয়ে সচিবসহ চেয়ারম্যানকে আবারো প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রর্দশন করে চলে যায়। এখন ভূক্তভোগীরা প্রাণ ভয়ে দিনাতিপাত করছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামশুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ একরামুল ছিদ্দিক জানান- অমি নির্বাচনী ডিউটিতে রয়েছি, তবে এধরনের একটি অভিযোগের কথা শুনেছি। যা থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং অধিকতর তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।