সোমবার (৬ জুলাই) দিনেরবেলায় করোনা বিস্তার প্রতিরোধক এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে বলেছেন মাশরাফি, ‘আমি আমার সন্তানদের থেকে দীর্ঘ ১৭ দিন বিচ্ছিন্ন আছি, একজন পিতা হিসেবে এটা কতটা কষ্টের, তা বলে বোঝানো যাবে না। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন আছি। তারাও আমার কাছে আসতে পারছেন না, এটা অনেক বেদনার।’ কষ্টের মধ্যেই সেদিন রাতেই মাশরাফি শুনলেন আরেক দুঃসবাদ। এবার করোনা আক্রান্ত হলেন তার স্ত্রী সুমনা হক সুমিও।
করোনাকে কেন্দ্র করে মাশরাফি পরিবারে বয়ে যাচ্ছে একের পর এক ঝড়। নিজে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো মুক্ত হতে পারেননি করোনার থাবা থেকে। দুই সপ্তাহ ধরে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। মূলত মাশরাফির সেবা করতে গিয়েই এবার করোনা আক্রান্ত হলেন তার স্ত্রী সুমনা হক সুমি। এর আগে মাশরাফির ছোট ভাই মোরসালিন বিন মুর্তজাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দুই সন্তানকে নড়াইলে দাদা-দাদীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র স্ত্রী সুমি মাশরাফির সেবা করতে থেকে যান ঢাকার বাসাতে। মাশরাফির পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ঢাকার বাসায় থেকে মাশরাফির স্ত্রী চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা আক্রান্ত হলেও সুমির শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে।
করোনায় সাধারণ মানুষের জীবন যখন বিপর্যস্ত, তখন থেকেই নড়াইলের মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে দাঁড়িয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি। গত ২০ জুন তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। কয়েকদিন আগে দ্বিতীয় টেস্ট করালে আগের ফলই বহাল থেকেছে- পজিটিভ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মাশরাফির তৃতীয় টেস্ট করানো হবে।
এমএহক