চট্টগ্রামের মেয়ে, ব্রিটিশ জামাই— নটিংহাম থেকে লাভলেইন

ভালোবেসে শুধু বিয়ে নয় নিজের নামও প্রেমিকার পারিবারিক নামের সাথে মিলিয়ে পরিবর্তন করলেন ব্রিটিশ তরুণ গ্রাহাম। শুধু তাই নয় স্ত্রীর দেশের সামাজিক রীতিকে সম্মান জানাতে চট্টগ্রামে এসে বাঙালী মুসলিম সমাজের নিয়ম মেনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন গ্রাহাম। এর আগে তিনি ধর্মও পরিবর্তন করেছিলেন। কনে ফেরদৌসি কবির মুক্তাকে বিয়ে করতে এমনই অনন্য উদাহরণ বনে গেলেন বর গ্রাহাম স্টুয়ার্ট। নাম বদলে গ্রাহাম হলেন সাইমন কবির।

ফেরদৌসি কবির মুক্তা সন্দ্বীপের দীর্ঘাপাড় ইউনিয়নের হুমায়ুন কবির হেলালীর মেয়ে। দীর্ঘদিন যাবত চট্টগ্রামের লাভলেইন এলাকায় বসবাস করেন তারা। ২০১৭ সালে লন্ডনের নটিংহাম ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যান মুক্তা। সেখানে পড়াকালীন গ্রাহামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ে তাদের প্রণয় গড়ে ওঠে। পারিবারিকভাবে বিয়ের আলাপ হলে ধর্মের কথা সামনে আসে। এ সময় ধর্মান্তরিত হয়ে মুক্তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন গ্রাহাম। পরে স্ত্রী মুক্তার সামাজিক রীতিকে সম্মান জানাতে চট্টগ্রামে এসে বাঙালী মুসলিম সামাজিক নিয়মে আবারো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে গত ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আসেন গ্রাহাম। বাঙালী রীতি অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর গায়ে হলুদ ও শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের রিমা কনভেনশন হলে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

কনে মুক্তার ভাই শোয়েব কবির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘পারিবারিকভাবেই গ্রাহাম ও মুক্তার বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। গ্রাহাম ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হন। তিনি পরিবর্তন করে নিজের নাম সাইমন কবির রাখেন। লন্ডনে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরে আমাদের সামাজিক রীতি অনুযায়ী বাংলাদেশেও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সিদ্ধান্ত নেয় বরকনে দুজনেই।

২৯ ডিসেম্বর মুক্তাকে নিয়ে লন্ডনে ফিরে যাবেন সাইমন। এমনটাই জানিয়েছিনে মুক্তার ভাই শোয়েব কবির।

এআরটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!