চট্টগ্রামে তিন থানার ছাত্রলীগে ইমু-দস্তগীরের একতরফা কমিটি

নগর ছাত্রলীগের একটি অংশের আপত্তিকে উপেক্ষা করেই চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর, পতেঙ্গা ও আকবর শাহ থানা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কমিটিতে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর তাদের ‘মাই ম্যান’ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরই দায়িত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ঘোষিত এই কমিটিতে রাখা হয়নি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের। বাদ দেওয়া হয়েছে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের আরেকটি অংশকেও।

ইমরান আহমেদ ইমু এবং জাকারিয়া দস্তগীর স্বাক্ষরিত নগর ছাত্রলীগের আলাদা প্যাডে মো. কাইয়ুমকে সভাপতি ও নুরুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে বন্দর থানার কমিটি, হাসান হাবিব সেতুকে সভাপতি ও মেহেরাজ তৌফিককে সাধারণ সম্পাদক করে পতেঙ্গা থানা এবং জুয়েল সিদ্দিকীকে সভাপতি ও সৈয়দ তৌহিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে আকবর শাহ থানা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরআগে থানা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ছাত্রলীগের একটি অংশ থেকে আওয়াজ ওঠে এ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালে এম আর আজিম ও সালাউদ্দিন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের ১৩ বছর পর ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর কেন্দ্র থেকে ২৪ জনের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ইমরান আহমেদ ইমুকে সভাপতি ও এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তারা দু’জনেই প্রয়াত নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। এ কমিটি বাতিলের দাবিতে একটি পক্ষ প্রায় ৮ মাস আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে সরগরম করে রাখে নগরীর রাজপথ। পরবর্তীতে পদবঞ্চিতদের আন্দোলন পরিণত হয় ক্ষোভে। নগরীর সার্কিট হাউজে দুই গ্রুপ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এর ছয় মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিলেও কোনও থানা ও ওয়ার্ড কমিটি করতে পারেনি ইমু-রনির নেতৃত্বে নগর ছাত্রলীগ। তবে নগর ছাত্রলীগ ছাত্রবান্ধব কাজ করে প্রশংসিত হয়।

এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলেও প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ও আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের মাঝে বিভাজন থাকায় ছাত্রলীগের রাজনীতি চলতো দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে। এরই মাঝে নানা বিতর্কে জড়িয়ে নিজ পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। তার স্থলাভিষিক্ত হন জাকারিয়া দস্তগীর। তিনিও মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।

এর মধ্যে গত বছর মেয়র নাছিরের অনুসারীদের বাদ দিয়ে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেন ইমু-দস্তগীর। তখন এর বিরোধিতা করে পাল্টা কমিটি গঠন করেন মেয়র অনুসারী ছাত্রলীগের নেতারা। এরপর নগর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করার দাবি তোলেন মেয়রপন্থি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এডি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!