বাঁশখালীর চা বাগানে মাস্ক পরে কাজ করছেন ৭০০ শ্রমিক

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বেলগাঁও চা বাগানে ৭০০ শ্রমিক মুখে মাস্ক পরে চা পাতা সংগ্রহ করছেন। করোনা প্রতিরোধে যখন সারাদেশে সবকটি অফিস-আদালত-কলকারখানা বন্ধ তখন বাঁশখালীর চা বাগানের শ্রমিকেরা শ্রম দিতেই আগ্রহী। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা বাগানে চা পাতা সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুর বেলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বন্ধ রয়েছে বর্তমানে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সিটি গ্রুপ পরিচালিত চাঁদপুর বেলগাঁও চা বাগানটির আয়তন ৩ হাজার ৪৭২ দশমিক ৫৩ একর। এখানে প্রায় ৭০০ একর জায়গায় চা পাতা উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের কাজ চলে। বর্তমানে ৭০০ নারী-পুরুষ শ্রমিক কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ, শুকানো, সংরক্ষণ এবং বাজারজাত চা পাতা তৈরির কাজে নিয়োজিত। শ্রমিকরা বাগান থেকে দৈনিক ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার কেজি কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ করেন। ওই কাঁচা পাতা থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মিলের মাধ্যমে ২৩% হারে বাজারজাত চা পাতা উৎপাদিত হয় (৭০০ থেকে ৭৫০ কেজি)। চা বাগানে শ্রমিকদের নিয়ে বাগানে শ্রমিক ইউনিয়নও রয়েছে। শ্রমিকরা ওই সংগঠনকে পঞ্চায়েত বলে। ওই পঞ্চায়তের সভাপতি হলেন আব্দুল জলিল।

পঞ্চায়তের সভাপতি আব্দুল জলিল বলেন, ‘চা বাগান কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক শ্রমিককে মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেছে। ওই মাস্ক পরে প্রতিদিন নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চা পাতা সংগ্রহ করছে। সাবান দিয়ে প্রতিনিয়ত হাত ও মুখ ধোয়ার কাজও করছে। শ্রমিকদের করোনা ঝুঁকি নেই।’

চাঁদপুর বেলগাঁও চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. আবুল বাশার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং কৃষিজাত রপ্তানিমুখী পণ্য হিসেবে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চা পাতা সংগ্রহ করছে। চা বাগানের চারদিকের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক ছাড়া চা বাগানে যে কোন ধরনের ব্যক্তির আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

এএইচ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!