খুন করে লুকিয়ে ছিল প্রবালদ্বীপে, র‌্যাব ধরে আনলো চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকা এলাকার লেগুনা চালক নাজমুল হক হত্যাকাণ্ডের এজহারভুক্ত আসামি ইমনকে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে আটক করেছে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় র‌্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট আলী আশরাফ তুষার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা আমরা ইমনের অবস্থান জানতে পেরে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে অভিযান চালিয়ে ইমনকে আটক করি। ইমন নাজমুল হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি। এর ১০ নভেম্বর আমরা এই মামলার প্রধান আসামি রাজুকে আটক করি। রাজুর স্বীকারোক্তিতে ইমন, বাইশ্যা এবং আরও এক রাজুর নাম উঠে আসে।’

তিনি আরও জানান, ‘চারজন মিলে নাজমুল হককে হত্যা করেছিল। মামলার প্রধান আসামি রাজু এবং দ্বিতীয় আসামি ইমনকে আমরা আটক করে থানায় সোপর্দ করছি। বাইশ্যা এবং অপর রাজুকে পুলিশ আটক করে আদালতে সোর্পদ করেছে।’

প্রসঙ্গত, ৯ নভেম্বর রাতে রাজু, ইমন, বাইশ্যা ও রাজু মিলে সাগরিকা থেকে মদুনাঘাট আসার জন্য নাজমুলের লেগুনা ভাড়া করেছিল। নাজমুল মদুনাঘাট এসে স্বজনদের জানিয়েছিল তিনি মদুনাঘাট এলাকায় ভাড়া নিয়ে পৌঁছেছেন। এরপর বাসায় না ফিরায় স্বজনরা তার মুঠোফোনে ফোন করে তা বন্ধ পান। পরদিন তারা থানায় অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের পাশাপাশি নাজমুলের সন্ধানে নামে র‌্যাবও। সন্দেহভাজন রাজু র‌্যাবের হাতে আটক হলে জিজ্ঞাসাবাদে রাজু নাজমুল হত্যাকান্ডের আদ্যপ্রাপ্ত স্বীকার করেন র‌্যাবের কাছে। তার দেওয়া তথ্যে ১০ নভেম্বর দুপুর ২টায় হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নের চন্দ্রাবিল থেকে নাজমুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত লেগুনা চালক নাজমুল হক গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার মো. মঞ্জুরের পুত্র। তিনি নগরীর সাগরিকা এলাকায় থাকতেন।অন্যদিকে, হত্যায় অভিযুক্ত আসামি ইমন পেশায় রঙ মিস্ত্রি, তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়।

এফএম/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!