রেলওয়ের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধার ৫ বছরের কারাদণ্ড, ১৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে নিয়োগবাণিজ্যের একাধিক অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমান পায় দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় রেলওয়ের সাবেক এ উদ্ধতন কর্মকর্তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

 

ral_26160

 

দুদকের করা মামলায় বুধবার সকালে রেলওয়ের সাবেক এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

 

কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামি মৃধাকে ১৫ লাখ টাকার অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড ভোগ করার কথা জানিয়েছেন দুদকের কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম। মৃধার বিরুদ্ধে বেশ কটি মামলা থাকলেও এই প্রথম কোনো মামলার রায় হলো। মৃধা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

 

৪০ লাখ ৯ হাজার ৯১০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৯১০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেছিল দুদকের উপপরিচালক রেজাউল হাসান তরফদার। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মৃধার বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

 

এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর আদালত মৃধার বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার শুরু করেন। এ মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

এর আগে গাড়ি ভর্তি ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিয়ে সাবেক রেলমস্ত্রী সুরঞ্জিত সেনের বাসায় যাওয়ার সময় বিডিআরের হাতে আটক হয়ে চাকুরী হারায় এ কর্মকর্তা।

 

প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল সাবেক রেলওয়ে মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ফারুকের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা। এ সময় গাড়িতে অভিযুক্ত ওই দুজন ছাড়াও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ছিলেন। সে রাতে ফারুকের গাড়ি চালক আলী আজম বিজিবি সদর দফতরে টাকাভর্তি গাড়িটি ঢুকিয়ে দেন

। ঘটনার পরদিন থেকে আলী আজম ‘রহস্যজনকভাবে’ নিখোঁজ আছেন। পরে ওই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন সুরঞ্জিত। বরখাস্ত হন ফারুক এবং সাময়িক বরখাস্ত হন বহুল আলোচিত মৃধা ও এনামুল।

বস্তাভর্তি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আলোচিত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে এবং ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৩টি মামলা হয়। ১৩টি মামলার মধ্যে বাকি ৮টি মামলা এখনো দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তাধীন আছে। এর মধ্যে পাঁচটি মামলার বিচারকাজ চলছে।

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

 

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!