৮ বন্যহাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঁশখালী, রাতে গুঁড়িয়ে দিল দুটি ঘর

পাহাড় বনদস্যুদের দখলে, হাতি নেমে এসেছে লোকালয়ে

পাহাড় থেকে নেমে আসা আটটি বন্য হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঁশখালীর লোকালয়ে। হাতির এই দলটি সবশেষ বাঁশখালীর চাঁনপুর-বৈলগাঁও চা বাগানে দুই শ্রমিকের ঘর ভেঙে দিয়েছে।

৮ বন্যহাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঁশখালী, রাতে গুঁড়িয়ে দিল দুটি ঘর 1

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টায় ঘর ওই দুই শ্রমিকের ঘর ভেঙে দেওয়ার পর থেকে ৭ শতাধিক শ্রমিকের মধ্যেে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। চা বাগান কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বনবিভাগকে বিষয়টি অবহিত করলেও বন কর্মকর্তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ মিলেছে।

চা বাগানের শ্রমিকরা বলেন, শুক্রবার রাত ২টায় চা বাগানের রংপুর টিলা নামক স্থানে আকস্মিক এক বন্য হাতি ঢুকে পড়ে। ওই সময় হাতিটি গর্জন শুরু করলে শ্রমিকরা ঘুম থেকে উঠে পরিবার-পরিজন নিয়ে চা বাগানের বিভিন্ন পাহাড়ে ছুটোছুটি করতে থাকে। এ অবস্থায় হাতি শুঁড় দিয়ে প্রথমে শ্রমিক জসিম উদ্দিনের ঘর ভেঙে দেয়। পরে শ্রমিক গেদু মিয়ার ঘরও ভেঙে দেয়। ওই টিলায় সব শ্রমিক রংপুরের বাসিন্দা হওয়ায় টিলাটি রংপুর টিলা নামে পরিচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, চা বাগানটি ৩ হাজার ৬ শত ৬২ একর সীমানা নিয়ে বিস্তৃত। এই বাগানের বিভিন্ন পাহাড়ে অন্তত ৮টি বন্য হাতির সার্বক্ষণিক বিচরণ রয়েছে। চা বাগান এলাকায় হাতির উপযুক্ত খাবারের কোন ফলদ, বনজ গাছ না থাকলেও সরকারি পাহাড়গুলো বনদস্যুদের দখলে থাকায় হাতির দল নিরাপত্তার জন্য চা বাগানে আশ্রয় নিয়েছে।

চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. আবুল বাশার বলেন, চা বাগানে হাতির ভাংচুর ও হাতির বিচরণ সম্পর্কে বন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কিন্তু বন কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে চা বাগানের কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা সার্বক্ষণিক বন্য হাতির আতংকে রয়েছে।

কালীপুর রেঞ্জের সাধনপুর বনবিট কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, চা বাগান এলাকাটিতে হাতির দল নিরাপদ ভেবে আশ্রয় নিয়েছে। তাই আমরা চা বাগানে আশ্রিত হাতিদের তাড়াতে চাই না। হাতির দল যাতে শ্রমিকদের ওপর হামলা না করে, সেজন্য কী করা যায় তা ভাবছি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!