৫ মাসেও উন্নয়ন বাজেটের টাকা পায়নি চট্টগ্রাম পূর্ব রেলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তর

ট্রেন ও ইঞ্জিনের মালামাল কেনার কাজে ব্যাঘাত

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের বিভিন্ন দপ্তরে এখনও মেলেনি বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের অর্থ। এতে দপ্তরের মালামাল কেনা থেকে শুরু করে ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ—এসব নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্মকর্তারা। চার কিস্তিতে বাজেটের অর্থ ছাড় দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও প্রথম কিস্তির টাকাই পায়নি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তর (পূর্ব)। আবার অনেক দপ্তরে এসেছে অল্প অর্থ। এসব কারণে ট্রেন ও ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ডিজেল, ফার্নেস অয়েল, কয়লা, মবিল কেনার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এ নিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ) বরাবরে চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া মেলেনি।

জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ক্রয়কাজ সম্পাদনে সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরকে বার্ষিক চাহিদার বিপরীত ২০ কোটি টাকা এডিজি অনূকূলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় (ডিডিও কোড-১৫১০৩২০১৩২২৮৪, অর্থনৈতিক কোড-৪১২৭১০১)। যা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ৫ কোটি টাকা করে ৪ কিস্তিতে দেওয়ার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই কোডে অর্থ ছাড় না দেওয়ায় দপ্তরের উন্নয়নকাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৯০টি মালামাল ক্রয়ের পরিকল্পনা থাকলেও তা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রেন ও ইঞ্জিনের জন্য ফার্নেস অয়েল, মবিল, পেট্রোল, কয়লা, ডিজেলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মালামাল।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব) কার্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, তিন মাস পর পর কিস্তিতে অর্থ ছাড় দেওয়ার কথা থাকলেও সিআরবি সরঞ্জাম দপ্তরে পাঁচ মাসেও ছাড় হয়নি প্রথম কিস্তি। এতে দপ্তরের ক্রয় কাজ বন্ধ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তর মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম ত্রৈমাসিক ১০০টি, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক ২০০টি, তৃতীয় ত্রৈমাসিক ২০০টি এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিক ১৯০টিসহ মোট ৬৯০টি মালামাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু অর্থের অভাবে তা এখনও কেনা যায়নি।

এদিকে প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় দিতে অতিরিক্ত মহাপরিচালককে (অর্থ) গত ৬ অক্টোবর চিঠি দেওয়া হলেও এখনও সাড়া মিলেনি।

কারখানার ও ট্রিটমেন্ট প্লান্টে সময়মতো এসব মালামাল সরবরাহ দিতে না পারলে চলমান উন্নয়নকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কারখানা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব) আনোয়ারুল ইসলামের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টাকা না থাকলে মালামাল কিভাবে ক্রয় করবো? চিঠি দিয়েছি, অর্থ এলেই সমাধান মিলবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিসাব ও অর্থ অধিকর্তা (পূর্ব) কামরুন্নাহার বলেন, ‘এই বিষয়ে পরিচালক (অর্থ) বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

অর্থ ছাড়ের বিষয়ে অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ) ফাহমিদা ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!