হালদার সেই মা মাছ মারা গেল, ঠাঁই হবে সিভাসু মিউজিয়ামে

হালদা নদী থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা ১৪ কেজি ওজনের মা মাছটি মারা গেছে। সোমবার (১১ মে) সকালে এ কাতলা মাছটি মারা যায়।

শনিবার (৯ মে) সকালে উদ্ধার করার পর মাছটিতে বাঁচাতে দ্রুত হালদা’র মা মাছের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করা সংস্থা আইডিএফের হাটহাজারী গড়দুয়ারার নয়াহাট প্রকল্প অফিসে হস্তান্তর করা হয়। মাছটিকে বাঁচাতে কৃত্রিম অক্সিজেনে প্রাণপণ লড়াই চালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিসার্চ সেন্টারও।

এ সেন্টারের সমন্বয়ক মনজুরুল কিবরিয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আহত অবস্থায় মাছটি উদ্ধারের পর দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়। তবে মাছের শরীরে গুরুতর আঘাতের কারণে বাঁচানো যায়নি। মাছটি মিউজিয়ামে সংরক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) হস্তান্তর করা হবে।’

তিনি আরও জানান, কাতলা মা মাছটির পেটে ছিল প্রচুর ডিম। দুদিন পরেই হালদার বুকে ছাড়ত এসব ডিম। মাছটির পেটের অংশে ছিল গুরুতর আঘাতের চিহ্ন। হয়ত কোনো ব্লক পার হতে গিয়ে পেটের দু পাশে আঘাত পেয়েছে। পেটে প্রচুর ডিমের পাশাপাশি আঘাতে মাছটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল।

তিনি জানান, একটি ট্যাংকে পানি নিয়ে তাতে দূর্বল মাছটিকে রেখে পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট, অক্সিডাইজিং ক্যামিক্যালের প্রয়োগে অক্সিজেন দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে মাছটি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেলেও আঘাতের পরিমাণ গুরুতর হওয়ায় মৃত্যুর সাথে লড়াইয়ে পেরে উঠতে পারেননি। সব চেষ্টাকে বিফল করে সোমবার সকালে মাছটি মারা যায়।

এর আগে শনিবার হালদা নদীর সর্তারঘাট ব্রিজ এলাকা থেকে আহত অবস্থায় ১৪ কেজি ওজনের একটি মা কাতাল মাছ উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। শনিবার সকালে উদ্ধার করা মাছটিতে বাঁচাতে দ্রুত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সিএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!