কৃত্রিম অক্সিজেনে একটি মা মাছ বাঁচানোর প্রাণপণ লড়াই হালদায়

ডিম ছাড়তে আসা হালদার ১৪ কেজি ওজনের ডিমওয়ালা আহত একটি মা মাছ জীবন সংকটে। কৃত্রিম অক্সিজেন দিয়েই বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে এটিকে।

হালদা নদীর সর্তারঘাট ব্রিজ এলাকা থেকে আহত অবস্থায় ১৪ কেজি ওজনের একটি মা কাতাল মাছ উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। শনিবার (৯ মে) সকালে উদ্ধার করা মাছটিতে বাঁচাতে দ্রুত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন আইডিএফের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।

কিন্তু উদ্ধারের ২৪ ঘন্টা পার হলেও সুস্থ হয়ে উঠেনি মা মাছটি। সেটির আঘাতের পরিমাপ এতোই বেশি, সুস্থতার আশায় আলোর প্রদীপ জ্বলেও যেন নিভে যাচ্ছে বারংবার। তবুও আহত এই মা মাছকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে আইডিএফ কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আহত অবস্থায় মাছটিকে নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। মাছটি এখনও জীবিত রয়েছে।

মাছের পেটে আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। মাছটির পেটে প্রচুর ডিম। ব্লক পার হতে গিয়ে পেটের দুপাশে আঘাত পেয়েছে এটি। আর প্রচুর ডিম আর আঘাতে মাছটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। মাছটি উদ্ধার করে বিকেলে আইডিএফ গড়দুয়ারার নয়াহাট প্রকল্প অফিসে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মাছটির সুস্থতায় চিকিৎসা চলছে।

আইডিএফ কর্মকর্তারা জানান, মাছটি উদ্ধারের পর আইডিএফ নয়াহাট অফিসে চিকিৎসা চলছে। একটি ট্যাংকে পানি ভরে তাতে মাছটিকে রেখে পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট, অক্সিডাইজিং ক্যামিক্যালের প্রয়োগে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। এতে মাছটি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। আলাদা পানির প্রবাহের মাধ্যমে ট্যাংকে পানির অক্সিজেন স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। মাছটি সুস্থ হলে তা নদীতে অবমুক্ত করা হবে।

হালদা রিসার্চ সেন্টার সমন্বয়ক মনজুরুল কিবরিয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আহত মাছটি আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ, তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগতে পারে। সুস্থ হওয়ার পর মাছটি নদীতে অবমুক্ত করা হবে।

সিএম/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!