হাজার মাস থেকে উত্তম পবিত্র শবে কদর আজ

আজ বুধবার (২০ মে) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর। ‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। তাই শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর বা সম্মানিত রাত। যে রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে, সে রাতই লাইলাতুল কদর।

এই রাতে ইবাদত করা হাজার মাস ইবাদত করা থেকে উত্তম। ইসলাম ধর্ম মতে, বছরের সর্বাধিক বরকতময় রাত। কুরআন ও হাদিসে এর নাম লায়লাতুল কদর।

হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, অন্যান্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, শবে কদরের রাতে ইবাদত করলে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআনেও বলা আছে, হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম লাইলাতুল কদর।

এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে তাই এই রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত।

এই পবিত্র রাতে হেরা গুহায় নবী করীম (সা.) এর কাছে আল-কুরআনের প্রথম সুরার (সুরা-আলাক) পাঁচটি আয়াত নাজিল হয়। পবিত্র কুরআনে কদর নামে স্বতন্ত্র একটি সুরাও রয়েছে।

যেসব ইবাদত শবে কদরে করা যায়

নফল নামাজ:তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলিল মাসজিদ, আউওয়াবিন, তাহাজ্জুদ, ছলাতুত তাসবিহ, তাওবার নামাজ, সলাতুল হাজাত, সলাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল ইত্যাদি পড়া। নামাজে কিরাআত ও রুকু সিজদা দীর্ঘ করা।
কোরআন শরিফ: সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুয্যাম্মিল, সুরা মুদ্দাচ্ছির, ইয়া-সিন, সুরা ত-হা, সুরা আর রহমান ও অন্যান্য ফজিলতের সুরা তিলাওয়াত করা।
দুরুদ শরিফ ও অন্যান্য ইবাদত: বেশি বেশি দরুদ শরীফ পড়া, তাওবা ইস্তিগফার অধিক পরিমাণে করা, দোয়া কালাম, তাসবিহ তাহলিল, জিকির আসকার ইত্যাদি করা, কবর জিয়ারত করা। নিজের জন্য, পিতা–মাতার জন্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সব মুমিন মুসলমানের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং বিশ্ববাসীর মুক্তি কামনা করে দোয়া করা।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!