সুফিয়ান-মোস্তাকের নেতৃত্বে দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৬৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কাজে গতি আনতে ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন বলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

৬৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে আহ্ববায়ক করা হয়েছে। এতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে আলী আব্বাসকে (কর্ণফুলি) ও সদস্যসচিব করা হয়েছে মোস্তাক আহমদ খানকে (বোয়ালখালী)।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী (বাশখালী), অ্যাড. কবির চৌধুরী (আনোয়ারা), অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন (সাতকানিয়া), এনামুল হক এনাম (পটিয়া), ইদ্রিস মিয়া (পটিয়া) অ্যাড. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, (বাঁশখালী), অ্যাড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী (বাঁশখালী), মোশারফ হোসেন (আনোয়ারা), শহিদুল আলম বুলবুল (বাঁশখালী), এমএ রহিম (পটিয়া), অ্যাড. মিজানুল হক (চন্দনাইশ), আলমগীর কবির চৌধুরী (বাঁশখালী), নূরুল আনোয়ার (চন্দনাইশ), অ্যাড. ফোরকান (কর্ণফুলি), আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী (সাতকানিয়া), বদরুল খায়ের চৌধুরী (পটিয়া), এহসান এ খান (কর্ণফুলি), আসাব উদ্দিন চৌধুরী (লোহাগাড়া), এম মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী (আনোয়ারা), কামরুল ইসলাম হোসাইনী (বাঁশখালী), এসএম মামুন মিয়া (কর্ণফুলী), নাজমুল মোস্তফা আমিন (লোহাগাড়া), মজিবুর রহমান (সাতকানিয়া), মোজাফ্ফর আহাম্মেদ টিপু (পটিয়া), আজিজুল হক (বোয়ালখালী), লিয়াকত আলী (বাঁশখালী), অ্যাড. নূরুল ইসলাম (চন্দনাইশ), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর (বাঁশখালী), আবুল কালাম আবু (বোয়ালখালী), সিরাজুল ইসলাম (চন্দনাইশ), মোস্তাফিজুর রহমান (আনোয়ারা), আবু মো. নিপার (আনোয়ারা), অ্যাড. ফৌজুল আমিন (আনোয়ারা), খোরশেদ আলম (পটিয়া), মফজল আহমদ চৌধুরী (পটিয়া), নূরুল ইসলাম সওদাগর (পটিয়া), জামাল হোসেন (সাতকানিয়া), ভিপি মোজাম্মেল (আনোয়ারা), মেজবা উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ (আনোয়ারা), হুমায়ন কবির আনসার (আনোয়ারা), লায়ন হেলাল উদ্দীন (আনোয়ারা), আমিনুর রহমান চৌধুরী (বাঁশখালী), হাজী রফিক (সাতকানিয়া), নবাব মিয়া (সাতকানিয়া), মো. ইসহাক (বোয়ালখালী), হামিদুল হক মান্নান (বোয়ালখালী), এহসানুল মাওলা (সাতকানিয়া), নূরুল কবির (সাতকানিয়া), মইনুল আলম ছোটন (পটিয়া), মোক্তার আহমেদ (চন্দনাইশ), শফিকুল ইসলাম (চেয়ারম্যান) হাবিলাসদ্বীপ (পটিয়া), জিয়া উদ্দিন আশফাক (আনোয়ারা), সাজ্জাদ হোসেন (লোহাগাড়া), লোকমান হোসেন মানিক (সাতকানিয়া), মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (বাঁশখালী), অ্যাড. কাশেম চৌধুরী (বাঁশখালী), জসিম উদ্দিন আব্দুল্লাহ্ (সাতকানিয়া), জসিম উদ্দিন (চন্দনাইশ), এসএম সলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী (লোহাগাড়া), বাবু চন্দ্রগুপ্ত বড়ুয়া (বাঁশখালী), শওকত আলম (বোয়ালখালী) ও কমিশনার নিলুফা ইয়াসমিন (বাঁশখালী)।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটির আহ্বায়ক-সদস্য সচিব যাঁরা হবেন তারা সম্মেলনে নতুন কমিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। আহ্বায়ক কমিটি তিনমাসের মধ্যে দক্ষিণ জেলার আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটি গঠন করবেন। পরে উপজেলা ও পৌর নেতৃবৃন্দের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে।

২০০৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতি ও অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে ২০১১ সালে এ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় শেখ মহিউদ্দিনকে সরিয়ে গাজী শাহজাহান জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে জাফরুল ইসলাম ও শাহজাহান জুয়েলের নেতৃত্বে ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

২০১৫ সালের ৯ আগস্ট কমিটি পুনর্গঠনের জন্য সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে চিঠি দিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। ২০১৭ সালের ৩ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ। সেদিন দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল এবং সহ-সভাপতি এনামুল হক এনামের অনুসারিদের মধ্যে সংঘর্ষে পর হয় কর্মী সমাবেশ। ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আওতাধীন সব উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি কেন্দ্র থেকে বিলুপ্ত করা হয়েছিল।

এফএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!