চট্টগ্রামে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো করোনায় কারও প্রাণহানি ঘটেনি। ফলে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ২৬৫-তেই স্থির আছে। একই সাথে চট্টগ্রামে কমেছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুনভাবে শনাক্ত হয় ৭৬ জনের দেহে। এদের মধ্যে নগরের ৫৬ জন এবং ২০ জন বিভিন্ন উপজেলার।
ফলে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ৬৮৮ জন। যাদের মধ্যে নগরের ১১ হাজার ৮৪৬ জন এবং উপজেলার চার হাজার ৮৪২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার জন এবং মারা গেছেন ২৬৫ জন, যাদের মধ্যে নগরের ১৮৪ জন ও উপজেলার রয়েছে ৮১ জন।
বুধবার (২৬ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ছয়টি ল্যাব ও কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ৭৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে নগরের ৫৬ জন এবং উপজেলার ২০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে করোনায় কোন মৃত্যু হয়নি, তবে করোনাজয়ের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ২৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় ১৫ জনের দেহে। এর মধ্যে ১৪ জন নগরের বাসিন্দা এবং ১ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। এদের ৪ জন নগরের এবং ১ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরেরই ১৬ জন, বাকি ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১৮ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে দিনের সর্বোচ্চ ২৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ১২ জন নগরের এবং ১৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের দেহে করোনা জীবাণু পাওয়া গেছে। এদের ৪ জন নগরের এবং ১ জন উপজেলার।
চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি করোনার পরীক্ষাগার শেভরণ ল্যাবে ৩৫ জনের নমুনায় ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ৬ জনই নগরের এবং বাকি ২ জন উপজেলার রোগী।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।
উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ২০ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ৭ জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়। এছাড়া রাউজান ও ফটিকছড়িতে ৪ জন করে, সীতাকুণ্ডে ২ জন এবং মিরসরাই, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এমএহক