মারছে ‘মা-মাছ’—হালদায় সক্রিয় শিকারী সিন্ডিকেট, ডিমের অপেক্ষায় জেলেরা

এশিয়ার একমাত্র কার্প জাতীয় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় মা-মাছ নমুনা ডিম ছাড়ার যে কোন মুহূর্তে মূল ডিম ছাড়া শুরু হতে পারে। হালদায় বিভিন্নস্থানে নেমে আসা মা-মাছের বিচরণ বাড়ার সাথে বেড়েছে মা-মাছ শিকারীদের তৎপরতা। শিকারিরা ডিম ছাড়তে আসা দুর্বল মা-মাছ ধরে বিক্রি করেন চড়া মূল্যে।

মা-মাছ শিকারিদের তৎপরতা রোধে হালদায় নজরদারি বাড়িয়েছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত টহলদল হালদা পাড়ে নিয়মিত নজরদারি রাখছেন।

হালদার বিভিন্ন পয়েন্ট বিচরণ মা-মাছের। সাধারণত মা- মাছ ডিম ছাড়ার জন্য যখন হালদার নিচের অংশে নেমে আসে তখন মাছগুলো অনেকটা আধা মরার মত দুর্বল থাকে। হাতে বা জাল দিয়ে মা-মাছ সহজে ধরা যায়।

আর এ সুযোগটি কাজে লাগায় মাছ চোরেরা। তারা হালদার বিভিন্ন পয়েন্ট জাল নিয়ে বসে থাকে। সুযোগ পেলেই মা- মাছ শিকার করে তা আশপাশের বাজারে চড়া মূল্যে বিক্রি করে থাকে। তাই ডিম ছাড়ার আগে ও পরে মা-মাছ রক্ষায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে টহল ব্যবস্থা।

২৬ মে রাত থেকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব চালু হওয়া টহল ব্যবস্থা চলমান থাকবে ডিম ছাড়ার পর আরো কয়েকদিন। টহল দলের নেতৃত্ব আছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন। তিনি সরাসরি স্পটে স্পটে এ টহল দলের তদারকি করছেন।

এছাড়া ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান আকবর হোসেন, ২নং ধলই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমগীর জামান, ৪নং গুমানর্মদন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের ইউনিয়ন ভিত্তিক নেতৃত্বে গঠিত টহল দল নিয়মিত পাহারা দিচ্ছেন। এতে মা-মাছ শিকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, মা- মাছ ডিম দেওয়ার আগ মুহূর্তে সবাই ডিম সংগ্রহে অপেক্ষা করেন। হালদা সংশ্লিষ্ট সবাই ডিম সংগ্রহের সময় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে। এ সুযোগে একশ্রেণীর মাছ চোর মা-মাছ শিকারে তৎপর হয়ে ওঠে। আমরা মা-মাছ রক্ষায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে হালদা পাড়ে নিয়মিত টহল ব্যবস্থা করেছি।

সিএম/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!