অনুপের মহাল—‘থানার প্রশ্রয়ে’ ফিশারিঘাটে হাত বাড়ালেই মিলছে চোলাইমদ

হাত বাড়ালেই মিলছে চোলাইমদ। অবাধে চলছে বিকিকিনি। প্রকাশ্যে, দিনেদুপুরে বসছে সে মদ পানের আসর। চট্টগ্রামের আলোচিত মদকারবারি অনুপ বিশ্বাসের মদের মহালের চিত্র এটি। এ মহাল থেকে মদ কিনে মাদকসেবীরা সেবন করছে মহালটির বিপরীত পাশে ঝুপড়িসহ আশপাশ এলাকায়।

শুধু রাতে নয়, সকাল সাড়ে দশটা পর থেকে শুরু হয় মাদকসেবিদের উপদ্রব। এদের উচ্ছৃশঙ্খল আড্ডাবাজি ও মাতলামিতে প্রতিদিন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারিরা। চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ফিশারিঘাট এলাকার ইকবাল রোডে প্রতিদিন দেখা যায় এমন দৃশ্য।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় পুলিশের নীরব ভূমিকায় ফিশারিঘাট এলাকায় বেপরোয়াভাবে চলছে মদের কারবার ও মাদকসেবিদের উপদ্রব। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে খবর পেয়ে মাঝেমধ্যে র‌্যাব অভিযান চালালেও পুলিশ যেন কিছুই জানে না! জনশ্রুতি রয়েছে, দৈনিক মাসোহারায় লাইসেন্সবিহীন এ অবৈধ মদের মহাল চালানোয় হাত রয়েছে স্বয়ং কোতোয়ালী থানা পুলিশের।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিনকে একাধিকবার কল করার পরও সাড়া মেলেনি। পরে যোগাযোগ করা হয় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবীর হোসেনের সাথে। ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনিও পাশ কাটতে চাইলেন। তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। আপনি একটু ওসি সাহেবকে ফোন দেন।’

সম্প্রতি ফিশারিঘাট এলাকার ইকবাল রোডে বেলা ১১টার পর থেকে মাদকসেবিদের একটি ধারণকৃত ভিডিওচিত্র চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ইকবাল রোডের প্রশাসনের তালিকাভূক্ত চিহ্নিত মাদককারবারি অনুপ বিশ্বাসের মদের মহাল থেকে মদ কিনে ঝুপড়ি, টঙ দোকান ও আশপাশের অলিগলিতে সেবন করছে বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তিরা। প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ জন ব্যক্তি মদ সেবন করে থাকেন। মাদকসেবিদের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীও।

চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল কোতোয়ালী থানার ইকবাল রোডে অনুপ বিশ্বাসের মদের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছিল র‌্যাব-৭। ওইসময় অনুপ বিশ্বাসের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ সাগর দাশের কক্ষ থেকে ২০০ লিটার মদসহ তিনজনকে আটক করা হয়। এর আগে ইকবাল রোডে বেপরোয়া মদ বেচাকেনার খবর পেয়ে গত ৩০ মার্চ অভিযান পরিচালনা করেছিল র্যাব। পরে সেখান থেকে হাতেনাতে একজন মাদককারবারিসহ মোট বারজন মাদকসেবিকে আটক করা হয়।

মুআ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!