মামুনুল ইস্যুতে ৮ বসতঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নারীলোভী বলায় দু’পক্ষের মারামারির ঘটনার দুইদিন পর ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৮টি বসতঘর।

শুক্রবার (৭ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বড় বাড়িতে আগুেন ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ঘরে থাকা নগদ দুই লাখ টাকাসহ ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয়রা জানান, রাত দুইটার দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে তার আগেই ৮টি বসত ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

ভুক্তভোগীরা দাবি করেন মো, মামুন, তাজুল আহমেদ, সালাউদ্দিন, লায়লা বেগম সহ কয়েকজন দাবি করেন পাশের বাড়ির প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম, আরমান, জহুরুল ইসলাম, ছালে আহমদরা নুরুল আলমের ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর আগে গত বুধবার বিকালে নুরুল আলম ও প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের মধ্যে হেফাজত ইস্যু নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পরিবারের কয়েকজন আহত হন। নুরুল আলমের পরিবারের সদস্যরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় শুক্রবার রাতে তারা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে সিরাজুল ইসলামরা তাদের ঘরে আগুন দিয়েছে দাবি তাদের।

তবে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম, আরমান হোসেন ও ছালে আহমদ আগুন লাগানোর ঘটনায় তারা জড়িত নন বলে দাবি করেন। সিরাজুল ইসলাম বলেন, টিভিতে খবর প্রচারকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় তারা আমাদের পরিবারের কয়েক সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, আগুনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে একটি দোকানে বসে খবর শুনছিলেন নুরুল আলম ও সিরাজুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন। এ সময় টিভিতে হেফাজত নেতা মামুনুল হক প্রসঙ্গে একটি সংবাদ প্রচার হচ্ছিল। নুরুল আলম মামুনুল হককে নারীলোভী বলে মন্তব্য করলে সিরাজুল ইসলামের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!