‘মরণফাঁদ’ পটিয়া বাইপাসে ঝরল আরেক প্রাণ, মারাত্মকভাবে আহত শিশুসহ ৪ জন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস যেন ‘মরণফাঁদ’। এই জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায়ই প্রাণহানি ঘটে। সর্বশেষ শুক্রবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাতেও প্রাণ গেল একজনের। একই ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন দুইশিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন।

জানা যায়, কক্সবাজার হতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবদুল লতিফ ও তার পরিবারের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য কক্সবাজার থেকে রওয়ান দেন। পথে পটিয়া বাইপাস সড়কে রাত একটার দিকে তাদের বহনকারী (ভাড়ায় চালিত) কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ডিভাইডারে তুলে দিলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটিকে সড়কে পড়ে থাকতে দেখে সড়কপথে যাওয়া অন্য গাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গাড়ি চালক আল আমিন (৪০) কে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় আহত অন্য চারজনকে হাসপাতালের ২৬ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

আহতরা হলেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী আবদুল লতিফ ( ৪২) তার স্ত্রী নাসওয়াত শারফি (৩২), তাদের ছেলে জাবের হোসেন (৬) ও মেয়ে আরোশা (৩)।

এদিকে নিহত আল আমিন পিরোজপুর জেলা সদরের সর্দার বাড়ির মৃত সেকান্দর সরদারের ছেলে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রকৌশলী আবদুল লতিফের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ‘আমার ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার হতে ঢাকা যাওয়ার পথেই গাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তখন এ সড়কদিয়ে অন্যান্য গাড়ি যাওয়া পথে গাড়ির দরজাখুলে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা গাড়িটি ঢাকা যাওয়ার জন্য ওভার হতে ভাড়া করেছি।’

হাসপাতালে দিয়ে দেখা যায়, তাদের ছেলে জাবের হোসেন ও মেয়ে আরোশা ২৮ নম্বর ওয়াডে নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন । জাবের হোসেনের ডান পা ভেঙে গেছে আর মাথায় মুখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। আর মেয়ে আরোশার চোখে মারাত্মক জখম হয়েছে।

অপরদিকে প্রকৌশলী আবদুল লতিফের বাম পা ভেঙে গেছে আর নাকে ও মাথায় আঘাত পেয়েছে আর স্ত্রী নাসওয়াতের ডান পা ভেঙে গেছে। তারা স্বামী স্ত্রী দুজন ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক্স ওয়ানডে চিকিৎসাধিন আছেন। তাদের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায়।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!