চুয়েটে উঠছে ২৩ কোটি টাকার নতুন আবাসিক হল

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নির্মিত হচ্ছে নতুন আবাসিক হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ডানে শেখ রাসেল হলের সামনে নতুন এই আবাসিক হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে চুয়েটের এই নতুন আবাসিক হল।

করোনা মহামারির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সভা আয়োজন করা না যাওয়ায় হলটির নির্মাণকাজেরও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনও দেওয়া সম্ভব হয়নি। ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত নতুন এই হলটির নির্মাণকাজ চলছে পুরোদমেই।

এখন পর্যন্ত চুয়েটে ছাত্রদের আবাসিক হল সংখ্যা পাঁচ। তবে নতুন হলটি সহ সংখ্যাটি দাঁড়াবে ছয়ে। হলটির প্রজেক্ট হেড হিসেবে রয়েছেন চুয়েটের সাবেক পিএনডি সভাপতি ও চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড.সুদীপ কুমার পাল। নির্মানাধীন নতুন হল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন হলটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। প্রকল্পটির টেন্ডার ২-৩ বার হওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদন এসেছে। ২০২০ সালের মার্চ মাস নাগাদ হলের এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

নির্মাণাধীন হলের ডিজাইন এবং বাজেট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বারবার পরিকল্পনা ও টেন্ডার হওয়ায় হলের ডিজাইন দুই তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এর ডিজাইনের খানিকটা সর্বশেষ নির্মাণ করা শামসুন্নাহার হলের মতো। তার আদলেই তৈরি হবে নতুন এই হল। আর বাজেট প্রাথমিকভাবে ১৯ কোটি টাকা ধরা হলেও এখন নির্মাণসামগ্রীর বাজারমূল্য বিবেচনায় ২৩ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

অধ্যাপক সুদীপ জানান, নির্মাণাধীন নতুন এই ভবনটি ৫ তলা পর্যন্ত করা হবে। যেখানে সর্বনিম্ন ৫২৫ জন শিক্ষার্থী আবাসিকভাবে থাকতে পারবে। প্রতি রুমে ৪ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করবে। দুটি ডাইনিং, একটি টিভি রুম এবং একটি লাইব্রেরির জন্য আলাদা আলাদা কক্ষ করা হবে।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে হলটির নির্মাণকাজ শেষ করে তারপর খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। আর হলটির নামকরণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে অনেক নাম প্রস্তাব করা হয়েছে— যেখান থেকে ‘সূর্য সেন হল’ নামটি প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়।

চুয়েটে বর্তমানে ছাত্রদের জন্য পাঁচটি এবং ছাত্রীদের জন্য ২টি সহ মোট সাতটি আবাসিক হল রয়েছে। ছাত্রদের পাঁচটি আবাসিক হল হচ্ছে— বঙ্গবন্ধু হল, শহীদ মোহাম্মদ শাহ হল, তারেক হুদা হল, ডা. কুদরত-ই খুদা হল এবং শেখ রাসেল হল। অন্যদিকে ছাত্রীদের দুটি হলের নাম— সুফিয়া কামাল হল এবং শামসুন্নাহার হল। নির্মাণাধীন হলের কাজ শেষ হলে মোট হলসংখ্যা হবে আট।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!