ব্রেন টিউমার অপারেশন করতে এসে ডেঙ্গুতে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু

চট্টগ্রাম মেডিকেলে মারা গেল খাগড়াছড়ির নারী

ব্রেন টিউমার অপারেশনের জন্য চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল ইম্পেরিয়ালে ছেলে আবদুল্লাহ আতাহার আহমেদকে ভর্তি করান জাহাঙ্গীর আলম। অপারেশন করানোর পর ছেলের সঙ্গে কথাও হয় তার। কিন্তু অপারেশনের তিনদিন পর হঠাৎ ডাক্তার জানান আবদুল্লাহর ডেঙ্গু হয়েছে। এরপর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়৷ সেখান থেকে আর ফেরেনি দু’বছরের শিশু আবদুল্লাহ।

গত ১৭ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আবদুল্লাহ। হাসপাতাল থেকে মৃত্যু কারণ উল্লেখ করা হয় ’12th POD Suboccipital Chantectomy with Excision of Post Possa Sol’।

মৃত আবদুল্লাহ আতাহার আহমেদের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো সংলগ্ন এলাকায়।

আবদুল্লাহর বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমার ছেলের ব্রেন টিউমার অপারেশনের জন্য ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। অপারেশনের তিনদিন পর আমার ছেলে আমার কথাও বলেছে। হঠাৎ চিকিৎসকরা জানান, আমার ছেলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তারপর তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাতে মারা যায় আমার ছেলে।

তিনি আরও জানান, বিল এসেছিল ৬ লাখ ২৬ হাজার। অনেক অনুনয় করে ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা বিল দিয়ে হাসপাতাল থেকে মৃত ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।

এদিকে গত ১৭ আগস্ট মিরয়ম বেগম নামের আরও এক মহিলারও মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে।

মৃত মরিয়ম (৪০) খাগড়াছড়ির বাসিন্দা আব্দুর রশিদের স্ত্রী।

জানা গেছে, মরিয়ম বেগম গত ১০ আগস্ট ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হন। পরে ‘ডেঙ্গু হেমোরেজিক শক সিনড্রোমে’ গত ১৭ আগস্ট তিনি মারা যান ।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে দু’জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

প্রতিবেদনে আরও জানানা হয় , গত ২৪ ঘণ্টয় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৮০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫২ জন সরকারি এবং ২৮ জন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে।

চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৫০৮ জন।

এনিয়ে চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ জন। এরমধ্যে আগস্ট মাসেই মারা গেছে ১৬ জন।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!