বিজিসি ট্রাস্টের সমাবর্তনে অংশ নেবেন ৪৬৬৩ শিক্ষার্থী, ১৫ জন পাবেন স্বর্ণপদক

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বেগম গুল চেমনআরা (বিজিসি) ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বারের মতো সমাবর্তনের আয়োজন করেছে। আগামী শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে এই অনুষ্ঠান।

এতে ৪ হাজার ৬৬৩ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হবে। আর স্বর্ণপদক দেওয়া হবে ১৫ শিক্ষার্থীকে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব।

লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য জানান, এবারের সমাবর্তনে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের বিবিএ প্রোগ্রামের অধীনে ২ হাজার ৭৬ জন, এমবিএ প্রোগ্রামে ৮৩৭ জন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ৩৫৫ জন, বি-ফার্ম অনার্স প্রোগ্রামের অধীনে ২৩৩ জন, আইন, কলা এবং সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বিএ অনার্স ইন ইংলিশ প্রোগ্রামে ২৯৩ জন, ব্যাচেলর অব ল প্রোগ্রামে ৬৮৯ জন এবং এমএ ইন ইংলিশ প্রোগ্রামে ১০৭ জনকে সনদ প্রদান করা হবে।

তিনি জানান, যে সকল শিক্ষার্থী অসাধারণ মেধার স্বাক্ষর রেখেছে তাদের মধ্যে ৫ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল, ৪ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ৬ জনকে চেয়ারম্যান গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমিরেটাস, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং বিজিসি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রাক্তন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমেদ।

উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব জানান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন বিধিবদ্ধ পর্ষদের অনুমোদন লাভের পর ২০০৩ সালে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। প্রায় ১০০ একর জায়গা নিয়ে নিজস্ব সবুজ ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সরকার ও ইউজিসি কর্তৃক সবুজ সংকেতপ্রাপ্ত অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় এটি। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি অনুষদের অধীনে ৬টি বিভাগ রয়েছে এবং বিভাগ সমূহের মাধ্যমে ৯টি প্রোগ্রামে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যাতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

তিনি আরও জানান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩৩টি ব্যাচে মোট ১২ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে তাদের গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ১ম সমাবর্তনে ৭ হাজার ৩৭৭ জনকে গ্রাজুয়েশন সনদ প্রদান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম সরওয়ার উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এসএম শোয়েব, মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিজিৎ পাঠক, মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব ও জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াসির সিলমীসহ মিডিয়া কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!