বড় বোনের পর ছোট বোনকেও দুবাই পাচারের চেষ্টা, ঢাকার স্কুলছাত্রী উদ্ধার চট্টগ্রামে

নারীসহ অপহরণ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

দুবাই প্রবাসী শহিদুল করিম সম্প্রতি ঢাকার এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর প্রলোভন দেখিয়ে নিজের স্ত্রীকে তিনি পাচার করে দেন দুবাই। এরপর তিনি টার্গেট করেন শ্যালিকাকে। সেই হিসেবে কৌশলে অপহরণ করেন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীকে। অপহরণের পর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এনে রাখা হয় চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত র‌্যাবের অভিযানে পাচারের হাত থেকে বেঁচে যায় ওই কিশোরী।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) গভীররাত রাতে নারীসহ অপহরণ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে সাতকানিয়ার নলুয়া থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন হাটহাজারী থানার ফরহাদাবাদের মৃত তোফায়েল আহমদের ছেলে আবু সুফিয়ান রানা (৩১), একই এলাকার আবু সুফিয়ান রানার শারমিন কাওসার হান্না (২২) ও চিপাতলী এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আসামি নুরুজ্জামান (৫৫)।

এই বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, ‘অপহৃত ওই কিশোরী পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সম্প্রতি তার বড় বোনের সঙ্গে বিয়ে হয় দুবাই প্রবাসী মো. শহিদুল করিমের। পরে মেয়েটির পরিবার জানতে পারে, শহিদুল বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত। এর আগে শহিদুল ভিকটিমের বোনকে দুবাই নিয়ে গেলেও সেখানের নাইট ক্লাবে বিক্রি করে অন্য দেশে থাকতে শুরু করেন।’

তিনি বলেন, ‘এরপর গত ৩ জানুয়ারি সকাল ৯টায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে শহীদুল তার সহযোগী সাকিব ও নুরুজ্জামানের সহায়তায় ওই কিশোরীকে অপহরণ করেন। এই ঘটনায় ভিকটিমের মা তিনজনকে আসামি করে ঢাকার শাহ আলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার রাত ২টায় হালিশহর থানার চৌধুরীপাড়া এলাকা থেকে আবু সুফিয়ান ও শারমিন কাওসার হান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে, রোববার ভোরে হাটহাজারী উপজেলার চিপাতলী এলাকা থেকে আরেক আসামি নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।’

জানা গেছে, এই পাচার চক্রটি অন্যান্য সিন্ডিকেট সদস্যদের সহায়তায় অসহায় মেয়েদের বিভিন্নভাবে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইয়ে পাচার করে। নাবালিকা স্কুলছাত্রীটিকেও অপহরণের পর তারা দুবাই পাচারের জন্য চট্টগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখেছিল।

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!