ফুটপাতে বৈদ্যুতিক খুঁটি, ভাগাড়ের দুর্গন্ধে চলা দায় মোমিন রোডে

চট্টগ্রামের ব্যস্ততম এলাকা জামালখান মোমিন রোডে হাঁটতে গেলে ফুটপাত খুঁজে পাওয়াই কঠিন। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সংকীর্ণ দুপাশের ফুটপাত। তার ওপর সড়কের কিনারায় খামখেয়ালিভাবে গড়ে তোলা বিদুতের খুঁটি হেলে পড়ার কারণে রাস্তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম মোমিন রোড কদম মোবারক বিদ্যালয়ের প্রবেশপথের ফুটপাত। শুধু তাই নয়, সেই সাথে বিদ্যালয়ের গলির প্রবেশপথেজুড়ে ডাস্টবিনের উৎকট গন্ধ। এসব সমস্যা দেখার কেউ যেন নেই!

সরেজমিনে দেখা যায়, কদম মোবারক বিদ্যালয়ের প্রবেশপথের গলির মুখের ফুটপাতেই আধভাঙ্গা হয়ে পড়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। ওই খুঁটির পাশাপাশি হেলে পড়েছে আরও দুটি খুঁটি। খুঁজতে খুঁজতে মিলল আরও তিনটি ভাঙ্গা খুঁটি। এছাড়াও আছে বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জাল। স্বাভাবিক উচ্চতার মানুষের মাথার কাছাকাছিই থাকে এই তারের জট। আর একটু বাড়তি উচ্চতার মানুষ যদি হয়, অসতর্ক হলেই নিশ্চিত বিপদ!

বৈদ্যুতিক খুঁটির গোড়ায় নিজেদের মত করে ময়লার ভাগাড় বানিয়ে নিয়েছেন আশপাশের দোকানিরা। পথচারীদের দেখা গেল ভাগাড়ের গন্ধে কেউ দৌঁড়ে পালাচ্ছেন ওই ফুটপাত থেকে। কেউ ফুটপাত থেকে সড়কে নেমে ছুটছেন দুর্গন্ধের হাত থেকে বাঁচতে। কিন্তু বাঁচার উপায় নেই স্কুলটির শিক্ষার্থীদের। কারণ স্কুলের গলির প্রবেশ মুখেই তো এমন খুঁটি আর ময়লার ভাগাড়। এরই মধ্যে প্রতিদিনই স্কুলে যাওয়া আসা করছেন শিক্ষার্থীরা।

পথচারীরা বলছেন, এই দুটি সমস্যা দীর্ঘদিনের হলেও সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি নগরীর কোন সেবাদানকারী সংস্থা। পথের উপরেই এমন ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিতে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

প্রায় দুই ডজনের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে জামালখান এবং এর আশপাশের এলাকায়। আছে বাণিজ্যিক, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকার এমন দুর্দশা সত্যিই দুঃখজনক।

সেবা সংস্থাগুলোর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রধান শিক্ষক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শুধু এই সমস্যাই নয়, আশপাশের আরো বেশকিছু সমস্যা নিয়ে কয়েকটি মিটিংয়ে আমরা কথা বলেছি। মিটিংয়ে সবাই থাকেন, সবাই শোনেন, কাজের বেলায় নেই। বুঝলাম না সেবা সংস্থা গুলোর কাজ কী?’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটির কাজ চলছে। ওই খুঁটিগুলোও আমরা চেঞ্জ করে দেব।’

তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন ‘ওই জায়গায় কোন ডাস্টবিন দেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা্ই ওইখানে ময়লার ভাগাড় বানিয়েছে। তবে আমি লোক পাঠিয়ে দেখছি বিষয়টা কী।’

এ বিষয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ‘আমরা তো পরিষ্কার করি। মানুষকেও সচেতন হতে হবে, যত্রতত্র ময়লা ফেলতে সাবধান হতে হবে।’

এসএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!