ফাইনালে নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে চায় বাংলাদেশ

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফাইনালে মাঠে নামার আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মিলে বাংলাদেশ এরই মধ্যে চারটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তাও নিজ দলের খেলাকে এখনো ‘নিখুঁত’ মানতে রাজি নন বাংলাদেশ কোচ। মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বরের সন্ধ্যার ফাইনালে ‘পারফেক্ট ম্যাচের’ সেই দুঃখ ভুলতে চান রাসেল ডমিঙ্গো।

ফাইনালের আগে সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে রাসেল বলছিলেন- ‘এখন পর্যন্ত সিরিজে আমরা পারফেক্ট ক্রিকেট খেলতে পারিনি। যদিও ম্যাচ জিতেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা ভাল আছি। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুবই গড়পড়তা অবস্থানে রয়েছি। এখনো পারফেক্ট ক্রিকেটের অপেক্ষায় আছি আমরা। শেষ ৫ বা ৬ ওভারে ব্যাটিংয়ের সময় আমরা উইকেট বেশি জমা রেখে সেই ওভার খেলতে পারছি না। শুরুর ১০ ওভারে আমরা অনেক বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলছি। আদর্শ বিষয় হতো যদি ১৫ ওভার পর্যন্ত আমরা মাত্র দুই উইকেট হারাই। ব্যাটিংয়ে এমন পরিস্থিতি থাকলে শেষের পাঁচ ওভারে একটা ক্ষেত্র তৈরি করা যায়।’

ফাইনালে তার দল শুরু এবং শেষের ব্যাটিংয়ে সেই ক্ষেত্র তৈরি করছে-এমন দৃশ্যই দেখতে চান বাংলাদেশ কোচ!

সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে আফগানিস্তান যদি না হারতো, তাহলে আগামীকালের ফাইনালে হট ফেভারিটের মর্যাদা নিয়েই নামতো তারা। কিন্তু জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশের কাছে হারের পর এই আফগান দলের অনেক দূর্বল দিক চিহ্নিত হয়ে পড়েছে। তারপরও প্রাক সিরিজ আলোচনায় আফগানিস্তান হট ফেভারিটের সন্মান নিয়েই খেলতে নেমেছিল। একমাত্র ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও আফগানিস্তান হারিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। তবে আগামীকালের ফাইনালে বাংলাদেশ ট্রফি জিতলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কোচও তাই জানালেন- ‘জানি আফগানিস্তান ভাল দল। তবে আমরা নিজেদের সম্ভাবনা অনুযায়ী খেলতে পারলে যে কোন দলকে হারাতে পারি। নিজের সেই সম্ভাবনা যদি আমরা ফাইনালে দেখাতে পারি তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। চ্যালেঞ্জটা এখন পুরোপুরি আমাদের নিজেদের ওপর। আফগানিস্তানকে হারাতে দক্ষতা, সামর্থ্য এবং মানষিকতা-এই তিনকে একজোট করে ম্যাচ জেতার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বাংলাদেশকে।’

একাদশে আগের ম্যাচ থেকে ফাইনালের একাদশেও খুব একটা বদল সম্ভবত আনতে না বাংলাদেশ। লিটন দাসের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তকে সম্ভবত ফাইনালেও ব্যাটিং ওপেন করার সুযোগ দেয়া হবে। লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের হাতের ইনজুরি এখনো সারেনি। শতভাগ ফিট নন তিনি। ফাইনাল ম্যাচে আমিনুল বাংলাদেশের পরিকল্পনায় নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন কোচ-‘আমিনুলের ইনজুরিটা যদিও তার বোলিং করার হাতে নয়। বাম হাতে তার দুই বা তিনটি সেলাই পড়েছে। ইনজুরিতে থাকা খেলোয়াড়কে আমি একাদশে খেলাতে আগ্রহী নই। আমি সবসময় শতভাগ ফিট খেলোয়াড় নিয়েই একাদশ সাজাতে চাই। হাতে সেলাইয়ের ব্যান্ডেজ নিয়ে সে খেলছে-এমন দৃশ্য আমি দেখতে চাই না।’

বোঝাই যাচ্ছে আমিনুল ফাইনাল ম্যাচে দর্শক হয়েই থাকছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!