প্রেম-ধর্ষণ-বাচ্চা সবই হয়েছে, তবু বিয়ে করে না প্রতারক প্রেমিক

একবছর পর র‌্যাবের হাতে ধরা ধর্ষক হৃদয়

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রথমে ধর্ষণ। এরপর বাচ্চাও হল একটি। বিয়ে হবে এই আশা নিয়ে বসে থাকে মেয়েটি। কিন্তু সেই ধর্ষক ঘোরাতেই থাকে। এভাবে প্রতারিত হতে হতে একপর্যায়ে আইনের আশ্রয় নেন মেয়েটি। শেষপর্যন্ত এক বছর পর ধর্ষণ মামলার সেই আসামি মোজাম্মেল হক হৃদয়কে (২৫) আটক করলো র‌্যাব-৭।

বুধবার (২৮ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দঁগাও থানার বহদ্দারহাট এলাকার বারইপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হৃদয় বোয়ালখালী উপজেলার ঘোরাপাড়া এলাকার সৈয়দ তালুকদার বাড়ির মফিজুর রহমানের ছেলে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বোয়ালখালী উপজেলার হৃদয়ের সাথে পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের করনখাইন এলাকার ২০ বছর বয়সী মৌসুমীর (ছদ্মনাম) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ২০২০ সালের দিকে। এরপর হৃদয় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ওই বছরের জুন-জুলাই মাসের দিকে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে সবকিছু জানাজানি হয়ে যায়। এ অবস্থায় ছেলেটিকে ব্যাপারটি জানালে তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন।

চলতি বছরের মার্চে মেয়েটি একটি মেয়েসন্তান জন্ম দেন। কিন্তু ধর্ষক হৃদয় এরপর নানা টালবাহানা শুরু করলে মেয়েটি বাবা আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়ের করেন। গত ২২ মার্চ পটিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের হওয়ার পর ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

পুলিশ অরেকটা নিরব ভূমিকা পালন করে গেলেও র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, প্রধান আসামি মোজাম্মেল হক হৃদয় (২৫) চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও বহাদ্দারহাটস্থ বারইপাড়া এলাকায় অবস্থান করছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে নয়টার সময় র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের একটি দল ওই স্থানে অভিযান চালাতে গেলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে হৃদয়। এরপর র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে তাকে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এদিকে আটক আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মোরশেদ আলম জানান, বিয়ের আশ্বাসে ২০২০ সালের দিকে ছেলেটি ওই মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরও তাকে বিয়ে না করায় মেয়েটির পরিবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার পর থেকেই আসামি পলাতক ছিলেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!