প্রথমবারের মতো বিজিবি মহাপরিচালকের সেন্টমার্টিন পরিদর্শন

প্রথমবারের মতো দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম (এনডিসি, পিএসসি)। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে সেন্টমার্টিনদ্বীপে পৌঁছেন বিজিবির মহাপরিচালক।
এ সময় টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান ও অপস অফিসার মেজর রুবাইয়াত কবীর বিজিবি মহাপরিচালককে অভ্যর্থনা জানান।

উপস্থিত ছিলেন রামু সেনা নিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মাইন উদ্দিন চৌধুরী, বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুল রহমান, সেক্টর কমান্ডার মনজুরুল হাসান খান, টেকনাফের-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান, অপারেশন অফিসার মেজর রুবায়াৎ কবীর, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।

টেকনাফ-২-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, ‘বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম (এনডিসি, পিএসসি) মঙ্গলবার প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের নিরাপত্তা ও বিজিবির বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেছেন। এ সময় দ্বীপে নিয়োজিত বিজিবির সদস্যদের প্রতি বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। প্রথম বারের মতো বিজিবির মহাপরিচালক প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিদর্শনে আসেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনদ্বীপে বিজিবির কার্যক্রম ছিল। এরপর দ্বীপে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। দীর্ঘ ২২ বছর বন্ধ থাকার পর গত ৭ এপ্রিল থেকে আবারও বিজিবি সেখানে নিয়মিত টহল শুরু করে।

মূলত সীমান্তের সুরক্ষা ও চোরাচালান রোধে সরকার নতুন করে দ্বীপে বিজিবির একটি বিওপি (বর্ডার অবজার্ভেশন পোস্ট) স্থাপনের উদ্যোগ নেন’। সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ‘বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম (এনডিসি, পিএসসি) দ্বীপের বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হেলিপ্যাডে পৌঁছার পর নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে কোস্টগার্ডের কার্যালয়ের পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন লাইট হাউস যান। সেখানে বিজিবির সম্ভাব্য বিওপি ও বিজিবির প্রস্তাবিত জায়গা ঘুরে দেখেন। এরপর তিনি দ্বীপের আবহাওয়া অফিসে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করেন। দ্বীপে বিজিবি মোতায়েনের ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে মিয়ানমার। মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিনকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দেখানো হয়। ৬ অক্টোবর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করে এর প্রতিবাদ জানায়। এরপর মিয়ানমারের মানচিত্র পরিবর্তন করা হয়।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!