প্রক্টরের চোখরাঙানির মুখেও চবির শেখ হাসিনা হলে ছাত্রীদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জননেত্রী শেখ হাসিনা হলে আসন বরাদ্দের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রীরা। এ হলের শিক্ষার্থীরা প্রায় সময় বিভিন্ন আন্দোলন করে আসছে তাদের হলের সিটের জন্য। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে হলের আসনের ফলাফল না দেওয়ায় আন্দোলনে নামে হলের আবাসিক ছাত্রীরা। কিন্তু তাদের এ আন্দোলনকে ‘সরকারবিরোধী আন্দোলন’ বলে হুমকি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে ছাত্রীরা হলের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভে বসেন।

এ সময় সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের কথা অনুযায়ী চলবে না।’

সে সময় অন্য আরেক প্রক্টর মহিলা পুলিশ ডাকার হুমকি দেন।

এ সময় প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটররা অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন। পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে তুমুল তর্ক-বিতর্কের পর তালা খুলে দেয় ছাত্রীরা।

ছাত্রীদের দাবি, আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে আসন বরাদ্দের ফলাফল ঘোষণা এবং ২০ অক্টোবরের মধ্যে যার যার বরাদ্দ বৈধ সিটে ওঠার নোটিস দিতে হবে।

ছাত্রীদের অভিযোগ, ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ছাত্রীনিবাসটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের চার বছর পরও ছাত্রীদের কোনো আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, ‘ভাইভা নেওয়া হয়েছে। তাদের তালিকা অনেকটাই প্রস্তুত হয়ে গেছে। আর হলটিতে এখনও কন্সট্রাকশনের কাজ চলায় তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই আমাদের একটু দেরি করতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্টের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে ছাত্রীদের আসন বরাদ্দের ফলাফল দেওয়া হবে। ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাদের হলে ওঠানো হবে।’

প্রসঙ্গত, সিটে ওঠার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সংযুক্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। প্রাক্তন উপাচার্যের সময়ও আন্দোলন করে আসছিল তারা। পরে প্রক্টর পরিবর্তন হওয়ার পর তাদের ভাইভা নেওয়া হয়। গত ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর এই ভাইভা নেওয়া হয়। ফল প্রকাশের জন্য এক মাসের সময়ও দেওয়া হয় বলে দাবি প্রশাসনের। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে দশ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল।

এইচটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!