পুলিশের ‘ব্যাগে মদ’, ধরলো জনতা—ছেড়ে দিল পুলিশ

চোলাই মদসহ চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন এলাকায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একজন সহকারী উপপরিদর্শকে (এএসআই) আটক করেছে স্থানীয় জনগণ। পরে উদ্দিপন চাকমা নামের ওই পুলিশ সদস্যকে অক্সিজেন মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টে হস্তান্তর করে তারা।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে এক পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে, এসময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তিনিসহ ওই বাইকে মোট ৩ জন আরোহি ছিল। এসময় উদ্দিপন চাকমার কাধের ব্যাগ থেকে কয়েক লিটার মদ উদ্ধার করে সাধারণ জনগন। এসময় বাইকের চালক পালিয়ে যায়।

জানা গেছে রাঙামাটি থেকে বাইকে চট্টগ্রাম নগরে নিজের কর্মস্থলে ফিরছিলেন তিনি। উদ্দিপন চাকমা সিএমপির মুনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সের সদস্য।

এসময় পুরো ঘটনা ফেসবুকে লাইভে প্রচার করেন আইয়ুব আলী রাশেদ নামের একজন স্থানীয় যুবক। সেখানে উদ্দিপন চাকমাকে মদ্যপ অবস্থায় দেখা গেলেও পুরো ঘটনার দায় পালিয়ে যাওয়া মোটর সাইকেল চালকের উপর চাপিয়ে উদ্দিপন চাকমাকে সাধারণ একজন আরোহী হিসেবে দাবি করছে বায়োজিদ থানা পুলিশ।

এছাড়াও এই ঘটনা ফেসবুকে লাইভ প্রচার করায় আইয়ুব আলী রাশেদকে চেকপোস্টে ডেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগও উঠেছে চেকপোস্টে দায়িত্বরত বায়োজিদ বোস্তামী থানার এ এস আই মনিরের বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, চেকপোস্টে হস্তান্তরের পর সেখানে দায়িত্বরত এসআই নূরনবী, এএসআই মনিরসহ অন্যরা ওই পুলিশ সদস্যকে রক্ষার চেষ্টা করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক তদন্ত সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলা হচ্ছে তিনিতো গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। তিনি রাঙামাটি থেকে ভাড়ার বাইকে শহরে আসছিলেন। আমরা বাইক চালককে খুঁজছি।’

অন্যদিকে ফেসবুকে লাইভ করায় আইয়ুব আলী রাশেদকে গালিগালাজের বিষয়ে জানতে চাইলে এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন এ এস আই মনির।

এআরটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!