পরকিয়ার বলি ভাবি,পলাতক দেবর! হত্যা মামলা দায়ের

 

চট্টগ্রামে আপন দেবরের হাতে পরকিয়ার বলি হলেন বড় ভাইয়ের স্ত্রী। অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে বন্ধুর ব্যাচেলর বাসায় নিয়ে আপন বড় ভাবিকে হত্যা করেছে দেবর মহিউদ্দিন। ঘটনার পর থেকে মহিউদ্দিন পালাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত ভাবির নাম নিলুফা ইয়াসমিন (২৮)। এ ঘটনার পর নিহতের ছোট ভাই মোসলেম উদ্দিন বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

mqdefault

হত্যাকান্ডের খবরটি জানাজানি হয় মঙ্গলবার রাতে লাশ উদ্ধারের পর। মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলাস্থ নসিউল আলম ভবনের নীচতলায় একটি ব্যাচেলর বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়। আজ বুধবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাঁশখালির নিজ গ্রামে নিয়ে গেছে স্বজনরা।

 

নিহত নিলুফার ইয়াসমিন বাশঁখালি উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের মৃত্যু সোলাইমানের মেয়ে।

 

সিএমপি’র ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানায়, ইপিজেড বন্দরটিলা এলাকায় কয়েকজন গার্মেন্টস শ্রমিক একটি ব্যাচেলর বাসায় থাকে। তাদেরই একজনের বন্ধু বাঁশখালি এলাকার মহিউদ্দিন (৩০)। সোমবার মহিউদ্দিন তার বন্ধুর ব্যাচেলর বাসায় রাত যাপন করে। সকালে বাসার লোকজন তালা মেরে কর্মস্থলে চলে যেতে চাইলে মহিউদ্দিন আরো কিছুক্ষণ ঘুমানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে চাবি রেখে দেয়।

 

বাসার বসবাসকারীদের বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, বাসার সবাই যার যার কর্মস্থলে চলে যাবার পর মহিউদ্দিন তার প্রেমিক বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে ফোন করে সে বাসায় নিয়ে যায় এবং তারা দুজন সারাদিন সেখানে অবস্থান করে। সন্ধ্যায় মহিউদ্দিনের বন্ধু চাকুরী থেকে বাসায় ফিরে তালা দেওয়া দেখে মহিউদ্দিনকে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর অন্য রুমমেটের কারখানায় গিয়ে বিকল্প চাবি এনে রুম খুলে ফ্লোরে এ মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন এবং বাড়ীর জমিদারের সহযোগীতা নিয়ে ঘটনাটি থানায় জানানো হয়। রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইপিজেড থানার এসআই শওকত আলী জানান, মহিউদ্দিনের সাথে তার আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিনের দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিলো। তারা মিলিত হওয়ার জন্য বন্ধুর ব্যাচেলার বাসা বেচে নেয়। কোন কারণে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় মহিলাকে গলায় ওড়না প্যাচিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যায় মহিউদ্দিন। আমরা তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মহিউদ্দিন বাশঁখালি উপজেলার দক্ষিণ বরুমছড়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র। এ ঘটনায় নিহতের নিলুফার ইয়াসমিনের ছোট ভাই মোসলেম উদ্দিন বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানায় তিনি।

 

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!