পটিয়ার কাশিয়াইশ হঠাৎ রণক্ষেত্র, গাড়িতে আগুন ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

চট্টগ্রামের পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নে নির্বাচনের চারদিন আগে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুরো নয়াহাট ও বুধপুরা এলাকা যেন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন-, তপন সর্দার, সাব্বির হোসেন, রোমান, রাসেল, জাবেদ, তারেক, রায়হান। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাট এলাকায় আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাসেম (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছের (আনারস) সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।

আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন। এ নির্বাচনে উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে শোভনদন্ডী, বড়লিয়া, দক্ষিণ ভুর্ষি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় মেম্বারদের পদে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার প্রচার-প্রচারণা চলাকালে কাশিয়াইশ নয়াহাটে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে নৌকা ও আনারস প্রতীকের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুর, দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও প্রাইভেট কার ভাঙচুর হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার, ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলামসহ একাধিক পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ নিয়ে উভয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছেন।

ঘটনার পরেই নৌকার প্রার্থী আবুল কাসেম এক প্রেসব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত সভা শেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ.ক.ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ ফিরে এলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছের নেতৃত্বে নৌকার অফিস ভাঙচুরসহ তান্ডব চালায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছ অভিযোগ করেছেন, নৌকার প্রার্থী আবুল কাসেমের অনুসারীরা অতর্কিতভাবে বহিরাগতদের নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষের অফিসে হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গে আমি কিংবা আমার কোন সমর্থক জড়িত নয়।’

এ ব্যাপারে পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান এবং নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্ন ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!