নির্বাচন নিশ্চিত করতে স্বাধীন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চাই

নির্বাচন নিশ্চিত করতে স্বাধীন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চাই 1

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান গবেষক আল্লামা এম.এ মান্নান বলেছেন, দেশে ১৫ ফেব্রুয়ারি কিংবা ৫ জানুয়ারি মার্কা ভোটারবিহীন প্রহসনের জাতীয় নির্বাচন আর দেশবাসী দেখতে চায় না। স্বাধীন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই পারে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে। এ জন্যই নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিতে হবে। সরকারি দলের প্রভাবমুক্ত জাতীয় নির্বাচনই হচ্ছে এই মুহূর্তে জাতীয় প্রত্যাশা। আল্লামা এম. এ মান্নান বলেন, বাজেটে করের আওতা বহুগুণ বাড়িয়ে অর্থনীতিতে গতি ও ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে অর্থমন্ত্রী নানা কায়দায় ব্যাংক-বীমায় লুটেরাদের লুণ্ঠনকে বৈধতাই দিচ্ছেন। ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া টাকা গরিবদের থেকে শোষণ করে নিচ্ছে সরকার। একদিকে গরিবের ঘাম ঝরানো টাকায় অতিমাত্রায় ট্যাক্স ধার্র্য করা হয়েছে, অন্যদিকে ব্যাংক লুটেরাদের হাজার হাজার কোটি টাকা অবলোপন করে ব্যাংক ডাকাতসহ অসাধু দুর্বৃত্ত তোষণনীতি করে যাচ্ছে সরকার এবং তার করিৎকর্মা অর্থমন্ত্রী। এম.এ মান্নান বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। কতিপয় অতি ভাগ্যবান দাপুটে ব্যক্তির হাতে দেশ জিম্মি হয়ে পড়েছে। দেশ আজ নিষ্ঠুর দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। ব্যবসার আড়ালে ওরা হরিলুট চালাচ্ছে। আল্লামা মান্নান বলেন, অগাধ সম্পদে শান্তি নেই। হালাল জীবনাচার ও সেবামূলক কাজে জড়িয়ে থাকাই হচ্ছে ব্যক্তি ও পরিবারে শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনার বড় উপায়। একচেটিয়া পনের ভাগ ভ্যাট আদায়ের ঘোষণা এবং ব্যাংকে জমা রাখা লাখ টাকার ওপর দস্যুতার নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে তিনি সরকার ও অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

৫ জুন সোমবার বিকেলে নগরীর স্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকত হলে ইসলামী ফ্রন্ট নগর উত্তর শাখা আয়োজিত মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা এম. এ মান্নান একথা বলেন। নগর উত্তর ইসলামী ফ্রন্ট সভাপতি আলহাজ্ব নাঈমুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক সিটি মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর রাজস্বের ৬০ ভাগ জোগান দেয় অথচ চট্টগ্রাম উন্নয়নের নামে ইট পাথরের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে।

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, এদেশের জনরায় হচ্ছে সুন্নিয়তের অনুকূলে। মুষ্টিমেয় বিপথগামীরা ছাড়া ৮০ ভাগ মুসলমান ইসলামের মূলধারা সুন্নীয়তে বিশ্বাসী। ওহাবি, মওদুদী সালাফি-আহলে হাদিস এই ভ্রান্ত গোষ্ঠীর ব্যাপারে কোনো ছাড় নয়। এদের বিরুদ্ধে সুন্নী ওলামা ছাত্র জনতাসহ জাতীয় মহাজোটকে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ধরা পড়া জঙ্গিরা কওমিপন্থি বলে তিনি নানা তথ্য দেন। সভাপতির বক্তব্যে নগর উত্তর ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি আলহাজ্ব নাঈমুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম দেশের হৃৎপিন্ড। সিংহভাগ রাজস্বের জোগানদাতা চট্টগ্রাম। অথচ ইট সুরকি পাথরের জঞ্জাল ছাড়া চট্টগ্রামের দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে না। যানজট, জলজট, জনজটে কাহিল চট্টগ্রাম নগরবাসী। কোনো মেয়র চট্টগ্রামের যানজট ও জলাবদ্ধতার মূল জায়গায় হাত দেননি। তাঁরা শুধু সময় চান। সঠিক বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা ও সদিচ্ছা থাকলে পাঁচ বছরে দেশকে সিঙ্গাপুরের আদলে গড়ে তোলা যায়। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে। নগরের উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন-সিডিএ-ওয়াসা সহ সকল সেবাদানকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। সুন্নিয়তের আন্দোলনে নিবেদিত নেতাকর্মীদেরকে জনসম্পৃক্ত কাজে আরো বেশি অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ধনীরা সঠিক পন্থায় জাকাত না দেয়ায় দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূল হচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। নগর ইসলামী ফ্রন্ট উত্তরের সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনা নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন নগর ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মুহাম্মদ সোলায়মান চৌধুরী, অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়ব আলী, মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, গাজী মনজুর রেফায়ী, আবদুর রহিম, আবু নাছের তৈয়বী, ফজলুল করিম তালুকদার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মাওলানা শিব্বির আহমদ ওসমানি, মুহাম্মদ জায়নাল উদ্দিন, মো. নবীর হোসাইন, মাস্টার আবুল হোসাইন, মাওলানা আশরাফ হোসেন, পটিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, রাঙ্গুনীয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, মাওলানা সোহাইল আনসারী, মাওলানা আবদুন নবী আলকাদেরী, মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, মুহাম্মদ আবদুর রহিম, অধ্যাপক আহমদ শাহ আলমগীর, মুহাম্মদ আলী হোসাইন, আলমগীর ইসলাম বঈদী, আবদুল করিম সেলিম, স ম এনামুল হক, নগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সামশুল আলম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এম. আবছার উদ্দিন রনি, যুবনেতা সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, হাবিবুল মোস্তফা ছিদ্দিকী, মুহাম্মদ এনামুল হক, ছাত্রনেতা জি.এম শাহাদত হোসেন মানিক, এইচ. এম শহিদুল্লাহ, শাহজাদা নিজামুল করিম সুজন, মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, আবদুল কাদের রুবেল, রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী, দিদারুল ইসলাম কাদেরী, মুহাম্মদ মারুফ রেজা, মুহাম্মদ মাছুমুর রশীদ, মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হিরু, মুহাম্মদ মফিজুর রহমান, মুহাম্মদ ইদ্রিস, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাসুম, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!