দূর্ভোগের আরেক নাম কুতুবদিয়া দরবার ঘাট

দূর্ভোগের আরেক নাম কুতুবদিয়া দরবার ঘাট 1ইফতেখার শাহজীদ রোকন, কুতুবদিয়া: কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আওতাধীন দরবার ঘাট জেটিতে উঠানামায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। বিগত ২০১৫সালে এ জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও শেষ হয়নি যাত্রী দূর্ভোগ। দ্বীপের অভ্যান্তরীণ যোগাযোগ ও কুতুব শরীফ দরবারে আগত অতিথিদের সুবিধার্থে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি) অর্থায়নে কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক জেটি নির্মাণ হলেও বর্তমানে নৌযানে উঠানামায় যাত্রী এবং দরবারের অতিথিরা চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত ২০১২-১৩ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে কুতুবদিয়া চ্যানেলের পশ্চিম পাশে দরবারঘাট এলাকায় আধুনিক জেটির নির্মান কাজ সমাপ্ত হয় গত বছর।

এ ব্যাপারে কুতুব শরীফ দরবারের প্রেস সচিব এইচ.এম এহসান আল কুতুবী জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গত বছর (২০১৫ সালে) জেটির নির্মাণ কাজ শেষ করলেও নৌযানে উঠানামায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রাক্কলনে ভুলের কারণে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জেটিতে উঠানামা করতে জেটির সাথে আলাদা সাথে মই ব্যবহার করতে হচ্ছে। পেকুয়া উপজেলার মগনামাঘাট হতে ডেনিস বোট আর স্পীড বোট যোগে কুতুবদিয়া দ্বীপের যাত্রী ও দরবারে আগত ভক্তরা দরবার জেটি দিয়ে উঠানামা করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তিনি আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য হযরত শাহ আব্দুল মালেক আল-কুতুবী (রহ:)’র ১৭ তম বার্ষিক ওরশ ও ফাতেহা শরীফের পুর্বে দ্রুত কোন ব্যবস্থা নিতে সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষে প্রতি আহবান জানান।

উপজেলা প্রকৌলশী মুহাম্মদ মহসীন জানান, জেটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে গত বছর। দরবারঘাটে জেটি নির্মাণ করায় সাগর ভাগের এ এলাকা পলি মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে। অবশ্যই বর্তমানে দরবার জেটি দিয়ে ভাটার সময় যাত্রী উঠানামার সময় মই ব্যবহার করতে হচ্ছে। যাত্রী পারাপারের সুবিধার্থে আরো দুই মিটার জেটি নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১২-১৩ অর্থ বছর কুতুবদিয়া দ্বীপের দরবারঘাট এলাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ৫ কোটি ৪লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। জেটির দৈর্ঘ্য ১০৭.০৬ মিটার ও প্রস্থ ৩ মিটার। এছাড়াও দ্বীপের মূল বেড়িবাঁেধর অংশ হতে জেটির সংযোগ সড়ক ২৮০ মিটার। দরবার জেটিঘাট অধিকতর উন্নয়নের জন্য গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে আরো ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে বর্ধিত জেটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়।

লেমশীখালী ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকতার হোছাইন জানান, দরবারঘাট জেটি লেমশীখালী ইউনিয়নের আওতায়। এ জেটি দিয়ে কুতুব শরীফ দরবারের বার্ষিক ওরশের সময় হাজার হাজার ভক্তের আগমন ঘটে। যুগ যুগ ধরে আগত ভক্তদের দূর্ভোগ বিবেচনা করে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ অত্যাধুনিক জেটিঘাট নির্মাণ করে। প্রাক্কলনে ভুলের কারনে এ জেটি নির্মাণ করেও উঠানামায় দূর্ভোগ কমছে না যাত্রীদের।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!