ঢাকার বিদায়, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির ফাইনালে চট্টগ্রাম

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ছিল চট্টগ্রামের বোলিং আক্রমণ। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে উড়তে থাকা চট্টগ্রাম সবার চেয়ে এগিয়ে থেকে এক নম্বর দল হিসেবে খুলনার মুখোমুখি হয়েছিল ফাইনালের টিকিট নেয়ার লড়াইয়ে। কিন্তু সোমবারের সেই লড়াইয়ে চট্টগ্রামকে ‌’অপেক্ষায়’ রেখে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বর খুলনাকে ফাইনালে নিয়ে যান মাশরাফি বাহিনী। একদিন পর মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সামনে ‘বাধা’ হতে চেয়েছিল ঢাকা। কিন্তু ঢাকাকে কোন সুযোগই দিল না চট্টগ্রামের বোলাররা। ৫ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে চট্টগ্রাম।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বোলিং তোপে মাত্র ১১৬ রানেই গুটিয়ে যায় বেক্সিমকো ঢাকা। মাত্র ১১৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।

১১৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। পাওয়ার প্লে’তেও দুর্দান্ত ব্যাট করে এই দুই ওপেনার। ৭ম ওভারে দলীয় ৪৪ রানে ব্যক্তিগত ২৭ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার।

সৌম্য ফিরলে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন লিটন দাস। মিঠুনের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৪০ রানে লিটন ফিরলেও দলকে ততক্ষণে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিলেন। এরপর মিঠুন ৩৪ রান করে ফেরেন দলীয় ১০৮ রানে। এরপর বাকি কাজটা সারেন শামসুর রহমান (৯) এবং মোসাদ্দেক হোসেন (২)। ৫ বল এবং ৭টি উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।

এর আগে প্রথম কোয়ালিফায়ারের খুলনার কাছে হেরে ফাইনালে ওঠার প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে মোস্তাফিজ-শরিফুল-নাহিদুলদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১১৬ রানে ঢাকাকে অল আউট করে দেয় মোহাম্মদ মিঠুনের দল।

ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম প আল-আমিনের। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ইয়াসির আলী। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, দুটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। আর একটি করে উইকেট নেন রাকিবুল হাসান, নাহিদুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন ও সৌম্য সরকার।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!