চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ১৬১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮৬৭ জনের।
এছাড়া মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ জন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
মারা যাওয়া দু’জনের একজন এমদাদুল হোসেন পুলিশ সদস্য ছিলেন। গত রোববার রাতে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি। কিন্তু পরদিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যে তা জানানো হয়নি।
অপরজন দক্ষিণ কাট্টলীর বাসিন্দা তৃষ্ণা রাণী রায়ও (৩৭) মারা যান এভারকেয়ার হাসপাতালে। গত সোমবার দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করালে রাতে মারা যান তিনি।
তৃষ্ণা রাণীর দেবর সজীব রায় জানান, ৫-৬ দিন আগে তার ভাবীর জ্বর হয়। তাপমাত্রা ১০২ এর মধ্যে ছিল। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জ্বরের নাপা ট্যাবলেট খেতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু ভাবীর বমি শুরু হলে খুব দুর্বল হয়ে পড়েন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভর্তি করানো হয় মেডিকেল সেন্টারে। ডেঙ্গু পজিটিভ রিপোর্ট আসার আগেই তার ফুসফুসে পানি চলে এসেছে বলে সন্দেহ করেন ডাক্তার। তারপর আ্যান্টিবায়োটিক শুরু করা হয়।
তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর ডাক্তার সেটি বন্ধ করে দেন। ততক্ষণে ভাবীর ইন্টারনাল রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়। প্লাটিলেট নেমে আসে ৩০ হাজারে। ২ ঘনণ্টা ব্যবধানে সোমবার সকালে প্লাটিলেট নেমে আসে ২১ হাজারে। তারপর মেডিকেল সেন্টার থেকে রোগীকে রেফার্ড করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। এভারকেয়ারে সব রিপোর্ট পরীক্ষা করে ফুসফুসের আরও কিছু পরীক্ষা করে ডাক্তার জানান, ভাবীর ফুসফুসে রক্ত জমে গেছে। সোমবার রাতে মারা যান তার ভাবী।
এদিকে চট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত ১৬১ জনের মধ্যে ৮০ জন সরকারি ও ৮১ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
তবে বর্তমানে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২৮৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি ৪ হাজার ৫৮৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছরে ৪৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এরমধ্যে ২৩ জনই মারা গেছে আগস্টে।
আইএমই/ডিজে