টাকা ছাড়া মেলে না ওয়ারিশ সনদ, সেই অসীম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি আনোয়ারায়

ওয়ারিশ সনদ নিতে টাকা দাবি, জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান ও সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তির অভিযোগে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় স্থানীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী। উপজেলার ৭নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেবের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদের কাছে এসব লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব অভিযোগকারীকে গরু চোর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অভিযোগ তদন্তে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ।

জানা যায়, আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বোয়ালগাঁও গ্রামের মৃত মধুসুদন মিত্রের একমাত্র কন্যা মিনু রাণী গুপ্ত। তিনি তার বাবার জমির নামজারির জন্য পূর্বের ওয়ারিশ সনদের আলোকে নতুন ওয়ারিশ সনদ ইস্যুর জন্য চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়ারিশ সনদের বিষয়টি তদন্ত করে নতুন ওয়ারিশ সনদ প্রদানের জন্য চেয়ারম্যানের নিকট সুপারিশও করেন।

কিন্তু নতুন ওয়ারিশ সনদ ইস্যুতে চেয়ারম্যান মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ওয়ারিশ সনদ দেয়নি বলে মিনু রাণী গুপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেছেন।

অন্য অভিযোগে বোয়ালগাঁও গ্রামের জোটন মিত্র অভিযোগ করে বলেন, তার দাদা মৃত রঞ্জন মিত্রর ওয়ারিশ হিসেবে প্রমথ রঞ্জন মিত্র নামে এক ব্যক্তির নামে জাল ওয়ারিশ সনদ ইস্যু করে। যা আমি ভূমি অফিসে আমার বাবার জমি নামজারি করতে গেলে ধরা পড়ে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছি।

অপর দিকে মিহির চক্রবর্তী নামে অপর ব্যক্তি গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হালনাগাদ ওয়ারিশ সনদের জন্য আবেদন করলেও চেয়ারম্যান ওয়ারিশ সনদ দিতে অস্বীকৃতি জানান বলেও অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযোগকারী জোটন মিত্র একজন গরু চোর।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেবের বিরুদ্ধে ওয়ারিশ সনদ নিয়ে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পূর্বে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না।

কেএস