টপসয়েল কেটে মাটির ব্যবসা, পটিয়ায় শক্তি হারাচ্ছে ফসলি জমি

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ফসলি জমির টপসয়েল কেটে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ একদল মাটি ব্যবসায়ী। এসব মাটি ইটভাটা ও ভরাট কাজে ব্যবহার হচ্ছে। গত দুই-তিন বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলি জমি থেকে টপসয়েল কেটে নেওয়ায় উর্বরা শক্তি হারাচ্ছে জমিগুলো। প্রশাসনের কড়া নজরদারিতেও থেমে নেই মাটি বিক্রির এই ব্যবসা। রাতের আঁধারে মাটি বাণিজ্য চলছেই।

প্রতিবছর আমন ধানকাটা শেষে মাটি কাটার মহোৎসব শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল-মে পর্যন্ত চলে এ ব্যবসা। গত এক সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের মাটি বিক্রি ব্যবসা। উপজেলার কেলিশহর এলাকার মা ফাতেমার মাজারস্থ সরকারি আবাসন প্রকল্পের পাশে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড়ি জমির মাটি কেটে বাইরে বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট বর্তমানে পাঁচটি ডাম্পার লাগিয়ে মাটি কেটে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাহাড়ি জমির মাটির কাটার বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামূল হাসানকে জানানো হলে তিনি গত ২২ ডিসেম্বর সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করেছেন বলে দাবি করেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী জানুয়ারি থেকে পটিয়ায় শুরু হবে মাটির জমজমাট ব্যবসা। উপজেলার কেলিশহর, হাইদগাঁও, শোভনদন্ডী, কচুয়াই, বড়লিয়া, জঙ্গলখাইন, আশিয়া, কচুয়াই, শোভনদন্ডি, ধলঘাট, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটা, জলাশয় ভরাট, ভিটেবাড়ি ভরাট কাজে ব্যবহার করা হয়। ১৫-২০টি গ্রুপের একটি মাটি কাটা সিন্ডিকেট প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার মাটির বিক্রি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।

পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, তিনি চলতি ডিসেম্বরে এই থানায় যোগ দিয়েছেন। থানায় আগে কী হয়েছে জানেন না। তবে ভবিষ্যতে এ অবৈধ ব্যবসার ব্যাপারে খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, তিনি গত আগস্ট মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কেউ মাটি কাটা বা বিক্রি কার্যক্রম করেনি। ভবিষ্যতে করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!